ও কবি হতে চায়, তাই কবিতা লেখে;
ও ছাই দিয়েছে কারো বাড়া কাব্যে?
সে একটি মানুষ, কবিতার মতো ভাবে;
বড় বড় কবিদের কবিতাগুলোকে পড়ে,
তারও বুকে লেখার জন্য তৃষ্ণা ওঠে জেগে;
তাই ও কবিতা লেখে;
কেনো যে তোমার-আমার এতো জ্বালা ধরে দেখে !


ছন্দ শেখেনি! কবি হতে চায়, অদ্ভুত!
তাহলে সে কোনো কবিই না,
যেমন বলতেন কবি আল মাহমুদ;
ব্যস ফুরিয়ে মুড়িয়ে গেল;
তবু তুমি-আমি কেনো ছুটে আসি তেড়ে?
তোমার-আমার ধনরত্ন নিয়েছে কি ও কেড়ে?  
মহাভারত অশুদ্ধ হবে!
যদি তার কথ্যরীতির ভাব, শব্দ, ভাষা,
একান্ত কেউ ভালোবাসে ,
তাতে তোমার-আমার কেন এত যায় আসে?


সুভাষ লেখেনি কথ্যরীতি ?
নীরেন্দ্রনাথ বলেনি এমন ?
"লোক যেভাবে কথা বলে সেটাই আমার কবিতার উপকরণ।"
হাজার হাজার কথ্যরীতির কবি'র কবিতার পরে,
এখনো তুমি-আমি কাঁদছি বসে প্রাচীন কাব্য সুরে?;


অকবি কবিতা লিখলে
পৃথিবী কি অশৌচ হয়, অভিসম্পাত দেয় তাকে?
জীবনের ঘুর্ণনে ঘটে যায় কি গন্ডগোল?
না, তেমন কিছুই হয় না,
বরঞ্চ সবাই কবি হয়ে গেলে
এই পৃথিবীতেই হয়ে যাবে স্বর্গ রচনা;


তুমি তোমার চারু কাব্যকলা নিয়ে থাকো না !
তবু ওর কবি হবার সুখটি ভেঙে দিও না;
সময়ই বলে দেবে যা বলার,
অথবা যদি পায় তো পাবে যোগ্য উপহার;
কবিতা হলো না, এরা কেন লেখে!
এত কবি কেনো পথে ঘাটে,
কাক দেখে ঐ অশ্লীল ঠাট্টা
তোমার-আমার মুখে কেনো উঠে আসে;
রাম গেল রাজ্যটি গেল বলে হাহাকার করো না,
ওর কবি হবার সরল স্বপ্নটা ভেঙ্গে দিও না;


একটি কবিতা লিখে
যেরকম তৃপ্তি সুখে আনন্দে সে ভাসে,
আকাশের নক্ষত্রও ঝলমল করে হাসে,


আর পৃথিবীটা সব কবিকেই ভালোবাসে।


(21.09.2021)


(*আমি মানুষের মুখের ভাষার প্রেমে পড়েছিলাম। মনে হয়েছে, কথ্যরীতি ব্যবহার করলে বাংলা কবিতা ক্রমেই সাধারণ মানুষের কাছাকাছি আসতে পারবে। তাই কথ্যরীতির প্রতিই ছিল আমার মনোযোগ। - কবি আবুল হোসেন )