কবি তিন যুগ ধরিয়া অক্লান্ত কবিতা লিখিতেছিলেন।


চতুর্থ যুগের প্রারম্ভে আসিয়া
একটি মাত্র চরণ এর ধাক্কা দিয়া
গোটা পৃথিবীটাকে নাড়াইয়া দিলেন


চারিদিকে মুহুর্মুহু করতালি
পূর্ব হইতে পশ্চিম গোলার্ধ
প্রশংসা, শুভেচ্ছায় মুখরিত সমগ্র বিশ্ববাসী
বৈঠকে বসিয়া গেলো নবেল কমিটি


কবি দীর্ঘশ্বাস ছাড়িলেন
তৃপ্তি কিবা বিষাদে, আমরা কিছুই জানিতে পারি নাই


কলমের নিব্ ক্যাপে পুরিয়া
বহুকাল পর কবি, যোগ্য মনোযোগে
গৃহিনীর অভিমানী মুখপানে চাহিলেন
চিবুকখানি তাহার, কোমল স্পর্শে নাড়াইয়া, একটু হাসিলেন
কর্ণলতিকার সকাশে মুখ রাখিয়া, জিজ্ঞাসিলেন
“কেমন আছো তুমি?
আচ্ছা, আর হবে না এমন, এখন বাজারের ব্যাগখানা দাও,
বহুদিন মেয়েটার বায়না রাখতে পারিনি”


ইহার পর আমরা শুনিতে পাই
কবি সংসাররূপ ধারণ করিয়া
গৃহের ফটক দিয়া বাহির হইতে হইতে
গৌতমের মতো, কাব্য রাজ্য চিরতরে ত্যাগ করিলেন।


(রচনাঃ ২৭.০৪.২০২০)