"অপেক্ষা ও অপেক্ষার শেষ"


আমার না শোনা কথাগুলো বলতে,
                              একদিন ফিরে এলো নীলাঞ্জনা;
আমি জানতাম এবং বুঝতাম এরকম হবেই;
যেখানেই সযত্নে রাখবো হাত, সে হাত পুড়ে যাবেই;
মন যেখানে স্থিতু হতে চায়, সেখানেই মনটা টুকরো হয়ে যায়,
আর তারপর জানাতে হয় নিজেকে,
"মন ভালো নেই বিধাতা, মন ভালো নেই";
নীলাঞ্জনা এসে শোনালো যে শব্দগুচ্ছ কবিতার মতো করে,
তাতে ভেঙ্গে যাবে যে কোনো প্রেমিকের হৃদয়!
আর মন খারাপ হয়ে পড়বে যে কোনো কবিতা প্রিয় মানুষের;
যে সম্পর্কটা মাঝে মাঝে মানুষের জীবন বিনাশের মতো,
তা কেনো জানি আজো দুর্দান্তভাবে বেঁচে আছে পৃথিবীতে;
আমি সে প্রেম নামের অনুভবটিকে মাঝে মাঝে মেরে ফেলতে চাই,
হয়ে ওঠে না কখনো; বরঞ্চ আবারো আকুল ডুব দিয়ে বলি,
"হে প্রেম তুমি আসছো কবে?"


(১১.০২.১৯৯১)


"অমিতা, অমিত ও আমি"


অমিতারা অমিতদের ভালোবাসে এখনো,
অমিতারা অমিতদের ভোলো না কখনো;
আমি নিজে দেখেছি ওদের ভুল বোঝাবুঝি,
পরবর্তীতে শুধরে নেয়া, আবার ফের সংঘাত,
                         ওদের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া;
বহুদিন পর অমিতাকে দেখে জিজ্ঞেস করলাম,
"কেমন আছো অমিতা?" উত্তরে শুধু হাসলো,
তারপর উচ্চারণ করলো, "অমিতের খবর বলো?"
আমার খবর কিন্তু জানার কোনো প্রয়োজন নেই,
অমিতা বা অমিতাদের মতো যারা প্রেমের ভুবনে অনন্য!;
কেউ মনে রাখে না আমাকে বা রাখার দরকার বোধ করে না!
ভালোবাসবার মতো প্রয়োজনীয় হয়ে উঠতে পারি না কখনো;
অমিতারা অমিতদের মনে রাখে চিরকাল;
অমিতরা কি সুন্দর উদাসীন, কিন্তু ওরা জানে,
অমিতারা ওদের কখনো ভুলবে না;
তবে আমাকে তো অমিতদের মতোই একজন বলে জানি!
কিন্তু আমার অমিতারা কোথায়? তাদের কি সৃষ্টি করা হয়নি?


(১১.০২.১৯৯১)


(আমার অতিসদ্য কৈশোর পেরোনো আবেগের কথামালা মাত্র! সৎভাবে পাঠ ও মন্তব্যের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে কবি বন্ধুদের!)