"বিষণ্নতাহীন সময়"


আজকের এই সন্ধ্যা অতিক্রান্ত সময়টিতে
               নিজেকে উৎফুল্ল লাগছে খুব;
বিষণ্নতা আমার ধারে কাছে নেই,
নিজেকে মনে হচ্ছে আনন্দে পরিপূর্ণ একজন মানুষ;
নীলাঞ্জনা,_ যে আমার এত কষ্টের কারণ,
তার সাথেও করেছি হালকা রসিকতা;
তুমি আজ কোথায় বিষণ্নতা?
নীলাঞ্জনা তুমি হেরে গেলে আজকের এ মুহূর্তটিতে,
বিষণ্নতার মাঝে আমাকে আটক করে রাখতে
                           সম্পূর্ণ ব্যর্থ হলে তুমি আজ;
কি প্রোথিত আছে আজকের এই অপূর্ব সময়টিতে?
আমি আন্দোলিত উৎফুল্লতার ঝর্ণাধারায়!
                           বিষণ্নতা তুমি এখন কোথায়?
প্রিয় বন্ধুরা, আমাকে বিষণ্ন করে তোলে কোনাে না কোনো ভাবে;
আজ এসো, আজ তোমাদের হবে নিশ্চিত পরাজয়;
আজ অবগাহন আমার আনন্দের ফল্গুধারায়!
বিষণ্নতা আজ তুমি কোথায়?
তুমি না হয় দিলে অব্যাহতি এবার, হে বীতনিদ্র বিষণ্নতা আমার।


(১৩.০২.১৯৯১)


"হয়তো একদিন"


হয়তো আসবে অপূর্ব সময়;
জানালার কাছে বসে দেখবো দু'জনে ব্যাকুল বৃষ্টি নিঃসংশয়;
হঠাৎ তোমার আশ্চর্য আঙ্গুল, পুলকে শিহরণে ছুঁয়ে যাবে আমার হাত;
একদিন আসবে অপূর্ব ক্ষণ,
তোমার কমনীয় ঠোঁটে ফুটবে নিবিড় নৈকট্যের আবেগী উচ্চারণ;
সে আবেগের প্রলেপটি হবে বিষণ্ন মধুর,
                               মধুময় সে মোহে জড়াবো দু'জনেই;
হয়তো আসবে অপূর্ব সন্ধ্যা;
সন্ধ্যার মাঝে পবিত্র প্রদীপের মতো জ্বলবে তোমার উজ্জ্বলতা;
গোধুলীর মতো রাঙা নরম আলো হবে তুমি, বাঁচার আনন্দ ফুরোবে না;
হয়তো একদিন আসবে অপূর্ব সময়;
সময়টির অপেক্ষায় পেরিয়ে যাবো ভুবনের পর ভুবন;
হয়তো সে অপেক্ষায়,_ কেটে যাবে অকৃত আমার সারাটি জীবন।


(১৬.০২.১৯৯১)