"অনুভুতি"


ঈদ রাতে দ্বীতিয়ার চাঁদের নিকটবর্তী একটি
নক্ষত্রের দিকে মুগ্ধ চোখে তাকাতেই,
মনে হলো,_ কোথায় পরিবর্তন? কোথায় আনন্দ আলাে?
প্রিয় বন্ধুরা বহুদূর থেকে এসে,
উজ্জ্বলতর কয়েকটি মুহূর্ত কাটিয়ে বিদায় নিলে,
বিষণ্নতাই শেষ পর্যন্ত নেমে এসে পাশে বসে নিত্য সঙ্গিনীর মতন;
ঘুমভাঙ্গা চোখে, প্রিয় খালাতো বোনকে
বিছানায় গল্পরত দেখে মন ভরে ওঠে; বলতে ইচ্ছে করে,
"থেকে যাও সারাজীবন";
কিন্তু তার অভিসার দৃশ্য যখন চোখের সামনে গণগণ করে,
তখন মনে প্রশ্ন জাগে,_ কে এই অচেনা তরুণী?
সম্পর্কিত হয়েও অচেনা! হয়তো ঈর্ষা, হয়তো একাকিত্ব;
জীবন বদলে ফেলার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় না মানুষ,
যদি জন্মাতো,_ তবে সেটা হতো কি মুগ্ধকর কিছু?
হয়তো হতো, হয়তো নয়;
কিন্তু ক্ষমতাটির খুব প্রয়োজন আমার এই সময়।


(১৮.০৪.১৯৯১)


"একদা এক দুপুরে"


তুমি কি দেখেছিলে আমাকে,
কোনো এক উত্তপ্ত রোদেলা দুপুরে,_ ঘর্মাক্ত, নিঃসঙ্গ?
সারা মুখশ্রীতে বেদনা,_ অস্বস্তি সারা দেহ জুড়ে?
অনুনয় করি, দিওনা স্মরণ করিয়ে সেদিনের কথা আমাকে;
যদি একান্তই বলতে চাও, তবে তুমি সমব্যথী হয়ে জানাও আমাকে,
"আমি তোমাকে সেদিনের রোদেলা দুপুরে দেখেছি,
নিঃসঙ্গ, বেদনার্ত; তোমার সে বেদনা আমি দূর করতে চেয়েছিলাম,
যেন তোমার জীবনে কখনো ফিরে না আসে,
এমন বেদনার্ত দিন, নিঃসঙ্গ ক্ষণ আর নির্মম অবহেলা"।


(০৯.০৫.১৯৯১)