কোনো কোনো কবি'র কবিতা পড়ে,
হৃৎপিণ্ডে সরাসরি এসে বিঁধে তীর;
অক্ষমতার বিষাদে রক্তে রঞ্জিত হয়
আমার নিজ কবিত্বের মনোভূমি;
তাদের কবিতার পাশে
নিজ কবিতার শব্দ সমাবেশ যেন
অসহ্যকর আবর্জনারা স্তুপ,
দূষিত শব্দপ্রবাহের মাতামাতি;


আমরা অনেকে বুঝতে পারিনা
ওদের কবিতার সীমাহীন ঐশ্বর্য;
তবে যারা বুঝতে পারি,
নিজেদের কবিতা লেখার ধৃষ্টতা
অস্তিত্ব পোড়াতে থাকে ভীষণতম লজ্জায়;
বেদনা এবং অপার বিস্ময়ে আমাদের
আচ্ছন্ন করে একটি নিগুঢ় সত্য,
আমরা কখনো খুঁজে পাই নি কবিতার ঈশ্বর,
অথবা ঈশ্বরই খোঁজ করেননি আমাদের,
দান করে দিতে সে দুর্লভ্য শৈলী;


যতবার মুখোমুখি হই এরকম কবিতার,
আমাদের ভেতরে অনাবিল পরিবর্তন ঘটে,
আমরা পরিশুদ্ধ মানবিক হয়ে উঠি প্রতিবার
জীবনের নতুন নতুন ভাষান্তরে,
আমাদের চিন্তা চেতনা সমগ্র মানব চরিত্র
হয়ে ওঠে নরম, কোমল, স্নেহশীল;


আমরা হতবাক হয়ে দেখি,
প্রতিদিনের জীবন প্রকৃতি ও পৃথিবীর
অভাবনীয় রূপান্তর
রূপকে, শব্দে, উপমায়, চিত্রকল্পে;
জ্বল জ্বল করে আমাদের অন্তরে জ্বলে ওঠে
অনুভূতি অনুভবের এক অবাক শুদ্ধ আলো !
শিহরিত কিশোরের মতো
বারবার স্পর্শ করি সে কবিতার শরীর,
বোঝা না বোঝার অনির্বচনীয় সৌন্দর্যে,
আমাদের সত্তা, অস্তিত্ব, হৃদয়
ধুয়ে মুছে নিষ্পাপ হয়ে যায়....
অতঃপর নির্মোহ এবং উদাস একটি
ভালো লাগা বোধ নিয়ে
আমরা বিচরণ করতে থাকি
কবিতার সে অনন্য রূপময় জগতে;


আর ভাবতে থাকি প্রচ্ছন্ন বিরহে,
এমন একটি কবিতা  
কবে জন্ম নেবে আমার হাতে .....।


(13.09.2021)