তুমি যেনো আজ অন্যমনা,_ স্তব্ধ?


হ্যাঁ_, মাঝে মাঝে কিছু বিভীষিকাময় শব্দ,
যেন শুনতে পাচ্ছি আমি আজ চারিধার;
কোনো সন্তান কি আবার হারালো কোনো মা'র;
অসুরের দল, কৃষকের ফসল, নিলো কি আবার কেটে,
দুরাচারী সুখে, নিরীহ কারো বুক, চৌচির হলো কি ফেটে;
কোনো প্রান্তিক নীড়ে দিলো কি আগুন, ধূর্ত শেয়াল শকুন,
শ্যামল মায়ের দীঘল চুলে রক্তচোষা উঁকুন;
অন্ধ শিকারী সাফ করে কি, বিকারে বন্দুক নল,
অন্ধ আঁধার হেসে ওঠে অপার, নাড়ে ধর্মান্ধ কল;


বেড়িয়েছে কি আজো গুমহত্যার নীল রক্ষীদের দল,
পান করেছে মহারাণী ওদের, অশুভ আত্মার জল;
জীবন দায়ীনি নির্মল জলে সব, কারা মেশাচ্ছে বিষ,
নির্মেঘ যুবতীর বক্ষে কে দেয়, ভীতিকর অশ্লীল শিস;


দুয়োরাণী শোনে শুধু ষড়যন্ত্র, পোষ্য ভ্রমরের গুনগুন,
দেখে না ঘরে ঘরে জ্বলছে দাবানল, বিদ্রোহের আগুন;
খিদের আগুন পেটে নিয়ে প্রজা, যাচ্ছে মৃত্যুমুখে খেটে,
বিলাসের নালা বেয়ে প্রজা রক্ত যায় রাণী-মন্ত্রীর পেটে;
রাজ্যপাটের তন্ত্রে যন্ত্রে_ আসবাবে ধরেছে ঘুণ,
দিনের আলোর সত্যকে ধরে, মিথ্যেরা রাতে করছে খুন;
শুনছো না তুমি নিস্পৃহ রাণী, বাতাসে আর্তনাদী স্বর,
তোমার পারিষদ খুঁড়ে রেখেছে তোমারই জন্য কবর;


রাখছো না কোনো খবর! রাখছো না যে কোনো খবর....


কি হলো কি! বকে চলেছাে আবোল তাবোল!
আচ্ছা, তুমি কি কখনো দেখেছো নিষিদ্ধ ফল?
আহা! হলো কি আবার, হাসছো কেনো নদীর মতো খল খল?


হা হা! ঐ তো নিষিদ্ধ ফল, রাঙা ওষ্ঠ তোমার কুসুমো কোমল!
স্পর্শে জাগে মনো ঈশ্বর, নির্বেদ নক্ষত্র জ্বলে আবার, বিহ্বল আর ঝলমল!


(০৫.০১.২০২১)