এসেছে যেনো জেগেছে! এক অদ্ভুত অসাড়তা;
অশ্লীল এক কায়া ছাঁপে, চাঁদ সরু হতে হতে নিভে গেলো,
বলে গেলো আমার কাছে আর ফিরবে না;


এখন খুঁজি সেই ট্রাম, একটু জিজ্ঞাসা ছিলো তার কাছে;
কতটুকু বিষাদের কয়েনমূল্যে, আপন হয়ে যাবে আমার সে;


বন্ধু তোমার কবিতা ভেঙ্গেচুরে দিয়েছে আমার মগ্নতা,
আমার সব কবিতাদের এখন জারজ মনে হয়,
খুজে পাচ্ছি না বন্ধু যোগ্য কলুষমাখা বিষমাটি,
করতে চাই বহু জনমের সঞ্চিত অক্ষরমালার বিভৎস সৎকার;
তবে তুমি ভুল বুঝো না, আমি দুঃখের করাতে কেটে টুকরো করে দেবো
নক্ষত্রদের, তবু কখনো ভুলবো না তোমার ভালোবাসা;
তাও একবার জেনে রাখি, আমার উর্ধ্বতায়-
লুসিফার কি আঁচড়ে বসেছিলো কখনো তোমার স্কন্ধে? ক্ষণিকের জন্য?
ভেবোনা বন্ধু! এ সবই ছিলো কর্পুরের মতো, উবে যাওয়া সহসা মাহেন্দ্রক্ষণ!
তারপরও আমার বিস্ময়াহত দৃষ্টিতে ধরা পড়ে, তোমার কবিতারা সব একে একে,
হয়ে উঠছে মাটি দাপড়ানো উম্মাদ ওরাংওটাং! কেনো বলতে পারো?
তোমার তেতোজল রক্তাক্ত কবিতা, এখন থামাতে পারো, কেননা এক পবিত্র সাধুর
বীজমন্ত্রদানে আমি, বহুদিন সবিস্তারে নির্মোহ;


তাকিয়ে দেখো;


চন্দ্রলুট উদ্যানে ব্যস্ততা দেবতাদের, উৎসাহে গড়ছেন-
লা সাগ্রাদা ফেমিলিয়া কারুকার্যে ঊনকবির নেক্রোপলিস;
যত অলংকারহীন শব্দ জঞ্জাল, তত উজ্জ্বল ফলক;
ফলিত হবে আহা! বিভায় আমার কবিতার ভ্যাজাল নির্মাণকাঠামো;
কৃষ্ণ পক্ষিরা দাঁত খোচায় দারুণ তৃপ্ততায়, ওঠে ঢেকুর;


আমার খুব ভালো লাগছে, জানো কবি? কেনো যেনো
এই মৃত্যুর দরজায় শরীর হেলিয়ে দেয়া নিমগ্নতা;
কেনো যে মনে পড়ে এসময়, এমোনিয়া এভেনিউ, প্রেমিকাদের গাঢ় শ্বাস!
আমার সিক্ত শরীরের খুব কাছে, এরপরই ধেয়ে আসতো উদ্দাম ঝড়;
বাতাসে যত্রতত্র কবিতার লাল পাঁপড়ির পাপ, আমাকে মুগ্ধ রাখতো সারারাত;
কবিতার হাতুড়ি আর চালাতে হবে না, বন্ধু আর, সারস সাদায় অতৃপ্ত রক্তক্ষরণে,
রক্তমাখা পালক ধুতে হবে না ক্লান্তিতে, খুঁজে অনাবিল বিল;
আবার, বারে বারে, কবিতা লিখতে হবে বলে;


এখানেই শেষ! খবরদার বন্ধু উচ্চারণ করবে না তুমি আহা!
বুকএন্ডসের মাঝে, তোমার অবাক কবিতাদের
গভীর গিরিখাদে, গুজে দাও আমার দুরাত্মা চিরতরে;


ফোটায় ফোটায় ঝরুক, তোমার কবিতার পবিত্র লোবান, আমার শবাধারে।


(২৯.০৫.২০২০)


(* কবি মশিউর ইসলাম (বিব্রত কবি) কে উৎসর্গ। এই কবি, এখনো কেনো হয়ে যায়নি দেশের একজন প্রথম সারির কবি, আমি খুঁজেই পাইনা তার কারণ। প্রথম কাব্যগ্রন্থটি কোথায় কবি, নির্ঘাত হৈ চৈ হবে, পাবে সম্মানে পুরস্কার, এই দোয়া থাকলো।)