মতিঝিল ১১১;
সোডিয়াম হলুদে নিষ্প্রভ নীরব সন্ধ্যা,
বিকেল ঘুমের পর ধূসর মনের মতো;
দূর থেকে ভেসে আসা মানুষের কথোপকথন
যেন দুঃখী সংলাপ, চাপা আর্তনাদ; কেন এই বেঁচে থাকা?
এরকম সন্ধ্যায় যারা স্বচ্ছ হৃদয় এবং একা,
তাদের গভীরে ক্রমাগত দোলা দেয় অভিমান, কবিতাময়, কারণহীন;


এখানে আছে তেমনি একা এক নারী;
নস্টালজিক সরকারী সিঁড়ি ভেঙ্গে
পাঁচতলায় উঠে গেলেই দরজায় দাড়াবে সে;
আঘাতে অশ্রু ঝরে নীরবে, শেখেনি প্রত্যাঘাত জীবনে!
আজ এই সন্ধ্যায়, তার গ্রিল বারান্দায়, কি করছে সে?
সুদূরে চোখ বিস্তৃত মতিঝিল, চায়ের কাপ, ঠোঁটে রবীন্দ্রসঙ্গীত,
মনে শুদ্ধ কিছু ভাবনা, এলোমেলো, আনমোনা
চোখে কি আছে তার সেই নিবিড় চশমা?


পাঁচতলা সিড়ি বেয়ে উঠে গেলে
            সত্যি কি দরজায় দাড়াবে সে?
তাকে নিয়ে আমার দ্বিতীয় কবিতা তুলে আনি পকেট খুঁড়ে;
সোডিয়াম হলুদে জেগে ওঠে দ্বিধা, দীর্ঘশ্বাস,
                      দেরী হয়ে গেছে, বছর উনিশ কিংবা কুড়ি;


ফিরে চলি, একা, পিছনে পড়ে থাকে মতিঝিল ১১১,
মায়াময় সন্ধ্যা, আর স্বচ্ছ হৃদয়া একা এক নারী।


(সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৬)