যখন মতিঝিলে যেতাম, আজ থেকে আট বছর আগে,
প্রতিদিন একটু একটু মরে যেতাম, অহেতুক অতিরিক্ত কর্মঘন্টায়,
আর নিঃসঙ্গতার দাপুটে চাবুকে ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ের রক্তক্ষরণে;
তখন যদি অফিস ফেরত সান্ধ্য বাতাসে বলে যেত কেউ চুপিসারে,


"ওই তাে ঐ ঈশানে, অল্প কিছু দূরে বাস করে জেরিন,
খুঁজে নাও তাকে, যাও তার কাছে;
তার আঁচলে সে মুছে দেবে তোমার সাতভূবনের ক্লান্তি;
একা থাকার সংকোচে এনে দেবে আস্থার শান্তি;"
তোমরা হয়তো বলবে, এ তো অযৌক্তিক আবেগ, এটা মনোব্যাধি!


তুমিও মাঝে মাঝে এখন ভূলে যাও জেরিন, বলেছি তোমাকে,
আমার সকল কষ্টের মূলে গেঁথে আছে একটিমাত্র শব্দ,_ ‘একা’
কি প্রচন্ড তার অভিঘাত,
কি নিকষ কালো তার ব্যাপকতা, তোমরা বুঝবে না;
একাকিত্ব আমাকে পিষ্ট করে চলেছে,_
যেদিন থেকে শরীর গহীনে গ্রহন করেছি একটি স্বর্গ নির্মিত তাড়না;


আর আজ যখন তোমাকে দেখতে চাই,
তোমার যৌবনের চপলতায়,
হঠাৎ বৃষ্টির মতো স্নিগ্ধ যৌবনের সে সৌন্দর্যে,
যা দেখেছিলো রক্তমাংসে, করেছিলো সে সুধাপান, ঐ যুবক!
আর দুম করে একদিন উনচল্লিশে মরে যাওয়া সহপাঠী;
আমির, অনন্য আর হারামজাদা হায়দার এবং হয়তো
ভালোমানুষ আরিফ, তোমার কষ্টে ক্ষণিক সহমর্মী মনসুর
আর রাকিবের উৎফুল্ল ক্যামেরা;


ওরা কেনো পেলো তোমাকে তোমার যৌবনে?
একই শহরে থেকেও কেনো আমাকে বঞ্চিত করলেন ঈশ্বর!
তোমার যৌবন উজ্জ্বল দীপমালার দিনগুলো থেকে;
আমি কেনো হলাম না তোমার তুঙ্গ যৌবনের গল্প?


তুমি বুঝতে পারছো জেরিন আমার অভিমান, আমার অসুস্থতা!
আমাকে আর ভালোবেসো না, দোহাই তোমার,
আর শুনতে চাই না তোমার যৌবনের গল্প,
                                   মরে যেতে দাও দমবন্ধ অভিমানে;


তুমি বুঝতে পারছো না জেরিন,
ঈশ্বর তোমাকে জড়িয়েছেন আমার সাথে,
তোমাকে শান্তি দিতে নয়,_ যেনো আরো শাস্তি দিতে!।


(অক্টোবর ১৯, ২০১৬)