“জেরিনপাঠ ২৫”


তোমাকে ভালোবাসার পর,_ জীব থেকে হয়ে গেছি জড়!
ইচ্ছের বিরুদ্ধে গা-ঝাড়া দিয়ে মায়ের ইনজেকশনের জন্য ছুটি,
বাজার, বিল, ইলেকট্রিসিয়ানের জন্য দৌড়োদুড়ি
আর রাঁধি চুলার তাপে গরম ভাপে;


দিনান্ন তুলে দেই মা, ভাই, গৃহকর্মী আর কাদের মামাকে;
এসবের মাঝেই ক্ষণে ক্ষণে মনে পড়ে আমার রাজকুমারীকে;


কেমন যেন আবিষ্টতা, পাথরের মতো শরীর বিছানায় ভারী;
শুধু যে ইচ্ছে করে, আর কিছু না, তোমার সাথে গল্প করি।


(অক্টোবর ১৪, ২০১৬)


----------------------------------------------------------------


“জেরিনপাঠ ২৬”


রাজকুমারী রাজকুমারী
বিছাও তোমার দুঃখের আঁচল
আমার বুকের দুঃখনীলে;
আমার কাছে আসো যদি
স্বপ্ন তুমি বলি দেবে;
রাত থেকে ভোর জেগে জেগে
অশ্রুমালা যাবে ঝরে।
ফেরাও তরী, ঘোরাও তরী
রাজকুমারী রাজকুমারী.
দুঃখের আঁচল দাও উড়িয়ে
নীল আকাশের অরূপ নীলে।


(অক্টোবর ১৫, ২০১৬)


----------------------------------------------------------------


“জেরিনপাঠ ২৭”  


আমি হারাতে চাই, হারাতে চাই!
তোমার গহীন বনরাজির ঘন অন্ধকারে;
অনাদিকাল হতে বহমান_
গভীর নিশুতি রাত কালো ছমছমে স্রোতস্বিনীতে;
অবগাহন চাই নিরুপদ্রব,
তোমার মেঘকালো, কাজলকালো, দীঘল রেশম চুলে;
রক্তাভা পায়ের, অর্ধচন্দ্র বক সাদা নোখ থেকে শুরু হবে আমার ভ্রমণ,
তোমার শরীরি শিল্পে এক শিল্পিত ভ্রমণ;
যেভাবে ভ্রমন করতেন একদিন, আদম-হাওয়া তাদের স্বর্গ বাগানে;
অনুভব করে নেবাে মানব-মানবীর শ্রেষ্ঠ অনুভূতি;
এবং সেই স্বর্গীয় অনুভূতির শিখরে উঠে,
অতঃপর শেষ হবে, আমাদের ধ্রুপদী প্রেমের এক অনন্য মিলন।


(অক্টোবর ১৪-১৫, ২০১৬)