প্রভাতের কিছু পর, এই ধরো সেদিন সকাল সাতটায়,
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিগনালে বেঁধে যায় অবোধগম্য তীব্রজট;
দেখতে পেলাম, ট্রাফিক সার্জেন্টদের ক্ষিপ্র দৌড়াদৌড়ি;
তাদের মাঝে একই ক্ষিপ্রতায় অস্থির এক স্মার্ট সার্জেন্ট নারী!
আমাদের এই শহরে আজ সম-দক্ষতায় কর্মে যুক্ত নারীরা;
তাদের শাশ্বত সৌন্দর্যে চিত্রার্পিত হয় হঠাৎ,
                     যেখানে সেখানে, মুগ্ধ করে দেয় চোখ আর হৃদয়;


যেমন তুমিও রাজকুমারী,
বাড়ী থেকে অফিস, এর মাঝে যেটুকু সময় তুমি রাস্তায়,
তুমি হয়তো জানোও না, পুরুষের কত মুগ্ধ চোখ,
                     তোমাকে দেখে লুকোয় তাদের মুগ্ধতার দীর্ঘশ্বাস;


তা যা বলছিলাম,
আমার কবি হৃদয় আরেকটু নড়েচড়ে বসে, আরো একটু মনোনিবেশে;
সৌভাগ্য, ওই সার্জেন্ট নারী নিরাশ করে না কবিকে;
উপহার দেয় চিরায়ত বাংলার রমণীদের, একটি মুহূর্তের অনাবিল সৌন্দর্য;


ওয়াকি-টকিতে ঝরোগতির বার্তা আদান-প্রদানের চঞ্চলতা মাঝে,
হঠাৎ স্থির হয়ে পড়ে সার্জেন্ট রমণী,


     মাঝ রাস্তায় অচঞ্চল হাতে বাঁধে তার রমণীয় সুন্দর চুল!


হ্যাঁ বাঁধে, সেই সার্জেন্ট রমনী তার চুল, মাঝ রাস্তায় অচঞ্চল হাতে;
দৃশ্যটি হয়ে যায় অবিনশ্বর আমার কবিতাময় বুকের জমিনে,
                             জাগায় বেদনা তৎক্ষণাৎ কবিতা নির্মাণের!


এই গ্লানিহীন বর্ণনায়, যদি জাগায় ঈর্ষা তোমার মনে রাজকুমারী!
তবে কবিকে ভালোবাসা তোমার উচিৎ হয়নি;
কবিদের মনের দর্পণে
অবিরাম ঘোরাঘুরি করে কবিতাদের অপ্সরী, নদী নক্ষত্র আর নারী;
তবে জেনো, সে দর্পণ রমণীদের মাঝে তুমিই প্রধানা, তুমিই রাজকুমারী;


ও বলতে ভুলে গেছি, আজ হঠাৎ একটি মেয়ে,_ খিলক্ষেতে,
আমার সেই সাত বছর আগেকার কবিতার নায়িকার মতো,
বাস থেকে নেমেই টুক করে খুলে দিলো তার খোঁপা!
আহ! কি সুন্দর,
সে দৃশ্য অবলোকনে ছিলো না কোনো লোভ, শুধুই মুগ্ধতা!


রাজকুমারী, আবারো কি জাগালাম তোমার ঈর্ষা?


(অক্টোবর ১৯, ২০১৬)


(*মহান মুজিবের জন্মদিবসে, তাঁকে স্মরণ করি আজীবন কৃতজ্ঞতায়, আনুগত্যে, পৃথিবীর বুকে বাঙালিদের জন্য একমাত্র দেশ "বাংলাদেশ" এর মতো অতুলনীয়, পবিত্র উপহারটি বাঙালিদের দেবার জন্য। মহান মুজিব আমার, তুমি চিরজীবী! শুদ্ধ দেশপ্রেমিক বাঙালিদের হৃদয়ে চিরদিন।)