“জেরিনপাঠ ১৬”


শুনেছি কি শুনিনি, ঠিক স্মরণ করতে পারিনি,
                            যে এলাকাটিতে তোমার নীড়;
তারপর একদিন মুঠোফোন তরঙ্গে জানালে সুমিষ্ট স্বরে,
“আমি থাকি ওখানে ১১১তে, হয়ে গেলো তেরো বছর”;
শোনামাত্রই জেরিন, সে জায়গা যেনো হৃদয়ের স্বপ্নভূমি;
কথা যেন দিয়েছিলে, দূর কোন এক কালে,
                                 আমাকে নিয়ে যাবে তুমি;


হৃদয়ে দাগ নিয়ে যারা বাঁচি এই শহরে,
                         মনে হলো যেতে পারে না তারা ওখানে;
দুগ্ধবর্ণ, স্বচ্ছ জলের মতন মন যাদের, শুধু তাদের বাস সেখানে;
তাদের কাছে অমূল্য চাঁদের আলো,
                              পাখি-ডাকা ভোর, মায়াময় সন্ধ্যা;
প্রজাপতিদের নাচ, লাল-নীল অচিন পাখির গানে মুখর সে ভূমি;
তোমাদের পায়ের স্পর্শে মাটিতে ছড়ায় আলো, ফুল ছড়ায় আভা;
বর্ণিল হীরকের টুকরো যেন পথের নুড়িপাথর,
                         সরোবরগুলোতে নক্ষত্রের প্রতিফলন শোভা;
পুরোনো জানালায় নস্টালজিয়া, জীবনানন্দ যুগের,
                     দেখা যায় কবিতার মতো নারীদের মুখ;
কারও কোনো লোভ নেই, পাপ শব্দটি জানো না তোমরা কেউ;


জেরিন! তুমি সেই স্বপ্নভূমির রাজকন্যা,
এই জন্য এই মন যেন জানে, তোমাকে কখনো পাওয়া হবে না।


(অক্টোবর ০৭, ২০১৬)


--------------------------------------------------------------


“জেরিনপাঠ ১৭”


কোথায় গেছো জেরিন?
কোথায় হারালে এই দুুপুরবেলা?
নিজ নিরালা ঘরে দরজা বন্ধ, আমি একা;
পোড়ে ধুম্র শলাকা ঘন ঘন, তার সাথে ভাবনা;
ভাবি শব্দ,_ তোমাকে, ভাবি স্বপ্ন,_ তোমার গল্প,
আর কিছুই যে ভালো লাগে না;
মুঠোফোন নিস্তব্ধ, কোথায় আছো জেরিন,
এই ছুটির দুপুরে?
তোমাকে কারা চুরি করে নিয়ে গেছে?
অমিত, অনন্য, রাজ, হীরা, আমির অথবা কোন সে রাজপুত্র!


কার কাছে আছো তুমি জেরিন?
কার সাথে হাসছো,_ বলছো বর্ণিল কথামালা;
পুড়ছে মনের নক্ষত্র ঘন ঘন, তার সাথে ভাবনা;


জেরিন তুমি নীরার মতো!
তিন মিনিটের স্বপ্নে শুধু, আর কোথাও পাবো না।


(অক্টোবর ০৭, ২০১৬)