কবি, অভিজাত মনন প্রেয়সী;
তোমার চশমাটা খুলে, গুছিয়ে বসো আমার পাশে;
হাটু ক্রস করো, দুধহলদে হাত রাখো তার ওপরে;
তাকাও এবার শুভ্র গ্রীবা বাঁকিয়ে, পাখিরা যেমন তাকায়
সঙ্গীর দিকে; তোমার চোখের বেড়ালের স্থির প্রক্ষেপন-
আমায় মুগ্ধ করে; বুঝে নিতে চাই যেন হেঁয়ালি,
সত্যি কি দেখি আমি আমাকে!


আঁচল ওঠাও মাটি হতে, যেন তুমি আজ মৃত্তিকার নও;
মর্ত্য ছেড়ে আজ এক নক্ষত্র হৃদয়ের, তার কোনো এক
পোড়া সময় উপশমের;


চুল ছেড়ে দাও, চাই ব্ল্যাক ডালিয়া অন্ধকার, রহস্যবুনন,
কেমন নীলচে যেনো লাগছে? সে কি ডেকেছিলো কবিতা
পড়তে; নাকি কবিতাই হলে নীল চাঁদের দরবারে!
তোমার উন্নত বুক, চাঁদ সুন্দরীর মতো ফাঁদ পাতে আমার
লোভে, তবু আড়াল করো না মেঘে, শুভ্র নিরাপদ লোভেরাই
শুধু এ রাতে উন্মুখ;
শাড়ির পাঁরে ফুটে আছে শুভ্র গোড়ালি, ঐ সাদা ফুল
সরাবে না কবি! যতই লজ্জার নীড় আসুক, ভেঙ্গে দাও;
তুমি এসেছো আজ এক লোভহীন সন্তর কাছে, যত ইচ্ছে
চুরমার করে বুকের নগর, ফুল ফুটিয়ে যাও, যেনো কোনদিন
ভুলে যেতে না পারি তোমাকে; ভুলতেও যে চাই না তোমাকে!


আজ উপোসী ঠোঁট হানবে না আঘাত; যেদিন মানব হবো,
কেড়ে নেবো সুখ যত শরীরের, কবিতার কষ্ট মানবের ঘুম
কাড়ে না; নৈশভোজের পর উপগত নিয়ম, মানবের টনিক,
ঘুম আসে মৃত্যুর মতোন!


আমি চুপচাপ দেখছিলাম একটি কবিতা গড়ে উঠছে,
তখনই যেনো কোনো কড়া নাড়া সম্বিতে, যেন অনেক
দেয়া হলো প্রশ্রয়, বহু সময় হলো অপচয়,এই প্রকার-
যে কোনো এক অনুভবেই, দ্রুত চশমা চোখে দিয়ে,
ইতি টানলে; “আমার কাজ আছে” মুহূর্তেই কবিতার
নিমগ্ন নগর ছেড়ে, চলে গেলো মধ্যরাতের নম্র পাহাড়ে,
আমার কবিতার বিদুষী কবি;


শৈলপ্রান্তর থেকেই যেন খানিক পরে, আসলো ফিরে ধ্বনি,
খানিক শোকে; “দূরপার মাঠের এক যাজক, মৃত্যুবাণে
আমায় জড়িয়ে রেখেছে; কোনোদিনই তুমি পাবে না যে
আমাকে, হয়তো মায়াক্ষণে চুপিসারে, কখনোই নয়
চিরকালে; জেনো সত্য, জেনো ভ্রম;
প্রেম-ভালোবাসা, নিরন্তর জ্বলে নেভে এরকম।”


(১১.০৬.২০২০)