কেনো এলে পৃথিবীতে হরিণী হলে চিত্রল, আমার অরণ্যে ?
কেনো তুমি দাঁড়ালে মেঘের দুয়ারে হলে অনন্যা, বৃষ্টিবেদনা আমার জন্যে ?
কেনো তোমার ঐ খোঁপার বুনোট শুধু ছুঁয়ে দেখতে চায় এ মন ?
কেনো তোমার খোঁপার ঐ শৈল্পিক অন্ধকারে হাঁটে বিষাদে এক কবি সারাক্ষণ ?
কেনো তোমার বজ্রচেরা ভ্রুভঙ্গিমার বাঁক আমাকে বিচলিত করে সকল প্রার্থনাতে ?
কেনো তুমি হাসো আনন্দময়ী দেবীর মতন আমার নির্জন মৌন পাহাড়ে ?
কেনো তুমি বালিকা বালুকাবেলায় চঞ্চল ঢেউ আজো আমার এ সমুদ্র জীবনে ?
কেনো তুমি হও রঙধনু রাঙাও আমার ম্লান সত্তা সাত রঙে আর নির্মম হারাও বারে বারে ?
কেনো তুমি হবে না আমার বিষন্ণ বিহঙ্গ বিষন্ণতা খচিত বিমূর্তরূপ আমার সান্ধ্য আকাশে ?
কেনো তুমি আরব্য রজনীর শেহেরজাদীর মতন বুনছো অবিদিত সুখের সুক্ষ্ণ বিরহ
নিঃসঙ্গ সম্রাটের মতো আমার মর্মমূলে ?
কেনো তুমি হলে একদিন তাহলে আশ্চর্য সুকোমল অনুরাগ বিকেলের সেই সিঁড়িতে ?
কেনো ভেবেছি তুমি একদিন আমার বন্ধু হবে, অথচ নিচ্ছো আমাকে মর্মবেদনার শিখরে ?
কেনো পারবে না ছিঁড়তে আমাদের এ প্রেমের মাঝে শকুনীদের প্রণীত বিকারগ্রস্থ সংবিধান ?
কেনো তুমি হবে না আলতা রাঙা পায়ের পূজারীনির মতন, রাখবে না গ্লানিতে,
অনুকম্পায় সামান্য অর্ঘ্য, সামান্য অঞ্জলি তোমাকে না পাবার এ বিষাদের বেদীতে ?
কেনো তুমি হলে আমার এ বিষাদ বেদীতে আশির্বাদ আর অভিশাপ একিসাথে ?
কেনো তোমার সুস্মিত স্নিগ্ধ ঠোঁটের প্রতিটি প্রমিত শব্দ বেদনার্ত কবিতাদের সৃষ্টি করে  
আর অর্চনার মতো ধ্বনিত হয় দিবস-রজনী তোমাকে না পাবার এ বিষাদ বেদীতে ?


(২৬.০৪.২০২২)