আজকাল খুব মন খারাপ থাকে;
নীলচে ছাই ঘন মেঘের নীচে
না পাবার সে বিষাদের ম্লান বেদীটি যেন বিষন্ণ উদাস বাতাসে
বিশাল কোনো মাঠের ওপর নিথর দাঁড়িয়ে আছে;


মন খারাপের কারণ সে, অথচ মন ভালো করি তাকেই দেখে;
বিশেষ করে সেই ছবিটি,
শহরের পাথুরে উঠোনে যেন একটি রক্তজবা ফুটে আছে;
লাল তাঁতের শাড়ি, লাল বাটিক ব্লাইজ, লাল টিপ, হালকা ফ্রেমের চশমা,
সুস্মিত হাসি যেন দুই করতলে ধরে রাখি বিকেলের আলোতে মাখন রঙের মুখশ্রী,
আর খয়েরী ডোরা কাটা চিকন সাপের মতো কাঁধ জড়িয়ে আছে ব্যাগের স্ট্র্যাপ্ ,
আর সেই চুল, সেই খোঁপা, এত ঋদ্ধ ঘন তার বুনোট,
কপালের স্নিগ্ধ দিগন্তে যেন এক ঘন অন্ধকার নিবিড় অরণ্য শুরু হয়েছে;
সেই শৈল্পিকতার কোনো তুলনা হয় না!  


আমার আজকাল খুব মন খারাপ থাকে, অথচ সে ল্যাপটপ, কলমে
আরো একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থের ঈশ্বরী হবে বলে
শুধু অক্ষর বুনে চলেছে নিঁখুত কৃষক কন্যার মতো;
এ পৃথিবীর মৃন্ময়ী দেবীরা যখন সৃষ্টিশীল থাকে, কোনো দৃকপাত থাকে না
কোনো প্রেমের কাঙালের মন খারাপের দিকে,
তখন তার অনুভবের জলাভূমিতে
কাঙালের অনুরাগ গুলিবিদ্ধ বুনো হাঁসের মতো নির্মম মৃত পড়ে থাকে।


(২৮.০৪.২০২২)