ভাবছি, নিয়তি;
যে সৃষ্টি করেছে ,
আমরা সকলে তার খামখেয়ালী খেলার সাথী;
দেখা হলো তোমার সাথে একদিন
কোনো বিকেলবেলার এক অনুরাগ প্রস্ফুটিত সিঁড়িতে;
তারপর নিয়তির স্রোত রবি ঠাকুর শরৎ বাবুর উপন্যাসের মতো
নিয়ে গেলো আমাকে দূরে;
হয়তো ছিলে নিভৃতে তবু বলবো না ভেবেছি তোমাকে,
কতগুলো বছর এরপর পার হয়ে গেলো এই জনঅরণ্যে;
অথচ আজ আবার ফিরে আসা,
যেন নিয়তির খেয়াল-খুশির ইশারা;
তোমাকে দেখেই খুলে গেলো যেন মেঘেদের দুয়ার
গোধূলির আঙিনায় আবার রক্তিম হলো হৃদয়
চাঁদের আঙিনায় আবার নিদ্রাহীন হলো রূপালী অনুভব
তারপরও যা কখনো ভাবিনি, সেই তুমি
খুব কাছে এসে বাঁধলে তোমার প্রাণবন্ত নীড়
যেন এনে রাখলে আমার নিঝুম সত্তার কাছে
এক নিবিড় নদীর তীর;  
অথচ এখন যখন ব্যাকুল বৃষ্টির সাথে বইছে চঞ্চল শীতল বাতাস
তুমি যেনো জানালা খুলে তা ছুঁ'তে চাইছো না,
চাইছো না এই বৃষ্টিতে ভিজতে
যেমন তুমি খুশিতে বালিকার মতো নেচে ওঠো মাঝে মাঝে;
বুঝতে পারি নিষেধের প্রণেতাদের উম্মত্ত করতে চাও না,
সেটাও নিয়তি! না হলে আমাদের দু'হৃদয়ের মাঝে
কেন দাঁড়িয়ে দেয়ালের মতো বাধা-নিষেধের ব্যাধিগ্রস্থ সংবিধান;  
এভাবেই আবার কেটে যাবে কাল, তারপর চলে যাবো বিষন্ণ একা
আবারো অন্য কোনো জীবনের দূর ম্লান সাম্রাজ্যে;
এ সবই নিয়তি,
আর নিয়তি যেন দেখতে চায় না ভালোবাসাকে
বেদনা ছাড়া অন্য কোনোরূপে ।


(২৪.০৪.২০২২)