যেদিন মন চাইলো যাবো অনিন্দিতার বাড়ী,
সেদিন থোকা থোকা রক্তজবা আর কৃষ্ণচূড়ায় রক্তিম হয়ে উঠেছিল
আমার স্মৃতির শহর;
সেটি ফাগুনের দিন ছিল কিনা মনে নেই তবে নিবিড় বাতাসে শুনেছি
অনিন্দিতার প্রমিত কন্ঠস্বর আর দেখেছি মাঝে মাঝে তার নিমগ্ন মুখশ্রীর ছায়া;
আমার সমগ্র অনুভব দুলছিল ব্যাবিলন নগরের ঝুলন্ত বাগানের মতো,
হে ব্যাবিলনিয়া, আমি জানি না, বলে দাও,
তোমার প্রেমিকেরা পাপ না পূণ্যের অধিকারী ?
শুনছিলাম অনিন্দিতা বলছে, আপনি ভুল দেখেছেন, প্রেমের মতো
মেঘ আর বলাকা আমার চোখের আকাশে উড়ছে না,
উড়ছে ওরা আপনার চোখের ভ্রান্ত অন্তরীক্ষে;
সেদিন আমি একটি গভীর নীল সমুদ্র হয়ে পড়েছিলাম গহীন এক অভিমানে;
দু'দিন পর দেখলাম, একটি রক্ত হৃদয়
আমার কবিতার দেয়ালে যীশুখৃষ্টের রক্তঝরা ছবিটির মতো ফুটে আছে;
অনিন্দিতা, যেদিন মনে হবে সুনীলের মতো এ হাতে পাপের দাগ মুছে গেছে,
সেদিন যাবো তোমার কাছে;
ততদিন তুমি আমার বিষন্ণ মনের প্রলাপ হয়ে থাকো
আমার নক্ষত্র রাত আর এ শহরের নিয়ন ভেজা সন্ধ্যার বাতাসে।


(২৮.০৪.২০২২)