বিশ্বের এক মহা পরিষদে,
পঞ্চভূখন্ডের পঞ্চপ্রেত বা অপদেবতা রাজত্ব্য করেন!
আহারের পর তৃপ্তিতে ঢেকুর তুলে দাঁত খোচান;
শক্তিমত্তার সবুজ পাতায় হাত মোছেন, মুখ মোছেন, এমনকি.......না থাক!
আমিতো আর কোনো অশ্লীল কবি নই,
অপ হোক বা দেব হোক, তাদের সব কুকর্ম বলে দেবো!
তবে এটুকু বলা যায়, তাদের আছে
সবুজ পাতার বেশুমার উপচানো যোগান আর সমানুপাতিক হর্ষ উম্মাদনা;


তারা মাঝে মধ্যেই শান্তি-নিরাপত্তার একঘেয়ে মন্ত্রনার আগে,
নিজেদের আত্মিক মন্ত্রপাঠে নিমগ্ন করেন;


"ব্যবসা কেমন চলছে?
গোলাপাস্ত্রের চাষ, বাম্পার লাইনেই তো স্থির, কি বলেন?
মনে পড়ে যায় স্মৃতি, মনে পড়ে সেই আশির দশক,
আমাদের অব্যর্থ ফরমুলায়, দু’ভাইকে রণমুখর করে দিয়ে,
আমাদের গোলাপাস্ত্র বিক্রির অসামান্য সাফল্য,
স্মৃতির দুয়ার খুলে এখনো মাঝে মাঝে দেখি;
পুরো দুনিয়া আমাদের সবুজ পাতার শক্তিমত্তায় খাস দাসে পরিণত;
তবে আজকাল কেনো যেনো মাঝে মাঝে স্বপ্নে শিউরে উঠি, ঘুম ভেঙ্গে যায় মধ্যরাতে,
ঘাম অনুভুত হয় গ্রীবায়, তাপানুকুল থাকা সত্যেও, সব এই অন্তর্জালের
ষড়যন্ত্রে শান্তি বিনষ্ট;"

পঞ্চপ্রেত পরিষদের পালের গোদার প্রাসাদ সাদা একটি ডোমকাঠামো;
কখনো সে, সারশুন্যমস্তক চিত্রনায়ক, কখনো বিশ্বনন্দিত গবেটের ঝোপঝাড়
আর বর্তমানে এক বায়ুগ্রস্থ উন্মাদ,
তিনি সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান দেখে তাকালেন, বাকি পারিষদের দিকে;


"পরিসংখ্যান বলছে, আমরা অত্যন্ত সফলতার সাথে পৃথিবীর নিরাপত্তা রক্ষার্থে,
প্রতি ১২ জনে ১ টি গোলাপাস্ত্র হাতে তুলে দিতে সক্ষম হয়েছি!
এবার প্রশ্ন হলো, কবে আমরা জনে জনে গোলাপাস্ত্র তুলে দিয়ে,
গোলাপের মতো রক্তরঙে পৃথিবী রক্তাক্ত করে রাঙাতে পারবো?"


প্রশ্নটি করেই মুচকি হাসলেন!


বাকি অপদেবতারা, এই মহান দিকবিজয়ী প্রশ্ন উত্থাপনে,
প্রথমে বিস্ময়ে বিমুঢ়, তারপরেই, যার যার ভূখন্ডের কেতা অনুযায়ী,
উচ্ছহাস্যে মস্তক দুলিয়ে,
লালসার এক মহাসুখের উল্লাসে নিজ নিজ ভূখন্ডে প্রত্যাবর্তন করলেন।


(২৫.০৬.২০২০)