যতদিন যায়, তবু যেনো আরো, মানুষ দগ্ধ হয়
ভুলেছি সকলে, পৃথিবী আসলে, শুভ্র কবিতাময়;
কোন যাতনায়, স্রষ্টা করিলেন, ক্লিন্ন এই ধরা
খুলে দিলে তুমি!, অভিশাপে ভরা, বাক্স পেন্ডোরা;
পাপের মোহে, মুগ্ধ মানব, পাপী হয় হৃদয়
মন্দ শক্তি, মুহ্যমান সবে, তবু জাগে ভয়;
স্রষ্টার পথ, হলো উচুনিচু, পরীক্ষার শুরু
মহাকাল হতে, শয়তান যেনো, নাচায় ভুরু;
প্রথমেই আসে, হৈ হৈ করে, দস্যু রিরংসা
যতদূর পারে, ঠেকায় মানবে, দিয়ে শুদ্ধতা;
এরপরে আসে, অতিভোজনের, ধনের লুব্ধতা
কভু কি পারে, তাড়াবে তারে, মম মিতচারিতা?
তারপর আসে, ভয়াল ত্রাসে, বস্তুবাদী ক্ষুধা
ন্যায়বানে শুধু, বহু জন দানে, মেটায় সমতা;
আবারো আসে, ঝিম অলসতা, কাড়ে কর্মস্পৃহা
শ্রম বিনা হায়!, সে পাপের বীণা, ধ্বংসীতে পারিবে না;
পঞ্চমে আসে, খঞ্জর বিষে, ক্রোধের আগুন
ধৈর্য্যই আছে, শান্তির গীত, মিতালি প্রসূন;
এইবার আসে, অতি ভয়ানক, ঈর্ষার মাতম
কৃতজ্ঞতার, ডালাখানি জেনো, ঈর্ষিতের যম;
শেষবারে আসে, উচিয়ে তরবার, অন্ধ অহংকার
স্রষ্টা দিলেন, সে পাপ মুছিতে, নম্রতার অলংকার;
হে মানব তুমি, পাপ দলে পা’য়ে, পুণ্যতে হও জয়
শুদ্ধ হৃদয়ে, স্রষ্টার পৃথিবী, করে দাও কবিতাময়।
(১৭.০৫.২০২০)