তোমার চোখের তারায়,
নাচে টিংকারবেল
হৃদয়ের মাঠে ছোটে সিন্ডারেলা,
চায়নি সে, তবু রাজপুত্রের সাথে দেখা
আসলে তুমিই চেয়েছিলে, সিন্ডারেলা যেনো,
ফিরে পায় জীবন নামের আত্মা


জানা অজানার গহীনে বাস, তুমি অভিজাত এক লাজুক তনয়া
তুমি এরকমই, তাই না?


নীলাভ রজণীর মধ্যপ্রহরে, ফুটে থাকা শুভ্র ফুল,
একা, তবু কোনো লোভ তাকে ছুঁয়ে দিতে পারে না
অসম্ভব হেইলোতে ছাওয়া তোমার পবিত্রতা
তুমি যখন কথা বলো, সবাই শুনে অধীর মনে
এক এক করে, লাল পাপড়ি যেনো ঝরে, দুগ্ধের জলাধারে
অথচ তুমি বলছো!,
প্রতিদিনকারই সাদামাটা কথা!


আর তুমি যখন কবিতা লেখো,
তাহলে তো হলোই!
সারা পৃথিবী নিশ্চুপ! রুক্ষ শব্দেরা সব দৌড়ে দৌড়ে পালায়
স্নিগ্ধ, স্মিত, ম্লান, মধুর শব্দেরা সব একসারিতে দাড়ায়
জানে তারা, এখনি পরম আদরে তুলে নিয়ে তুমি,
শুইয়ে দেবে কবিতার আয়নায় বা সফেন সরোবরে,
এমনকি হয়তো নিয়নে ভেজা নীরব সন্ধ্যার,
বিষণ্ন হৃদয় অর্চনাতে


শেষ হলে কবিতা,
জানালায় রাখবে চোখ, পৃথিবীটা কি হলো আগের মতো?
দুঃখও উড়বে পায়রার মতো, তবু অভিযোগ যেন থাকবে না
তোমার স্বপ্নীল দরজায়, বেজে উঠবে বিরহী উইন্ডচাইম,
সে তরঙ্গে আবারো নেচে ওঠে টিংকারবেল, স্পার্কলিং আলোকচ্ছটায়


এরপর ঘুম আসে, তবু জেগে থাকে প্রার্থনা,
ক্ষমাপ্রসূণ নিদ্রাহীনতায়
পৃথিবীর অসুখ সারিয়ে দাও, হে ঈশ্বর!,
ধুয়ে মুছে দাও সব পাপ,
ক্ষমা করে দাও আর একটিবার, আর একটিবার!
আর দোষী করে রেখো না!


তুমি যেনো এমনই, তাই না?
জানা অজানার গহীন গাঙে ভেসে থাকা, প্রার্থনারত বেহুলা।


(২০.০৫.২০২০)


(*কবি শ্রাবনী সিংহ কে উৎসর্গ। কবি, আপনার স্মিত, স্নিগ্ধ কবিতা পড়তে পড়তে হঠাৎ সেদিন উঠে এলো সম্মূখে এই জানা-অজানার নারীটি! আর যে কবির জন্য উপহার পেলাম এই রহস্যময়ীকে, সে কবিকে তো কৃতজ্ঞতা জানাতেই হয়। কবি, কবিদের ভাবনা কিন্তু কোনো আইন মানে না, তাই না!।)