রাজকুমারী,
তোমার হাতের লেখাও দুর্দান্ত প্রেম পটিয়সী!


কলমে ফোটে কাগজে শব্দের সুনিপুন সৌন্দর্য,
দেখি নিবিড় শব্দদের দেহধারী গভীর রেখা,_ নিঁখুত আঁক, অঙ্কনরূপ;
তুমি নেই, অথচ কাগজ-কলমে তুমি হয়ে ওঠো,
তোমার সত্তা সদৃশ অপরূপ আরেক অনুভব,
একান্তে যেনো বলে চলেছো_
কোনো অনন্য নাট্যশিল্পের গহীন ধ্রুপদী একাঙ্কিকা সংলাপ;
কেউ বাধা দেবার নেই,
তোমার সুনিবিড় আত্মগত সংলাপ প্রক্ষেপন করে চলেছো আমার দিকে,_ একমনে,
মননে গেঁথে রাখা সুপ্রিয় সে কন্ঠস্বরে;
ছড়িয়ে দিচ্ছো আমার মনোভুমে প্রেম, কখনো খেপাচ্ছো মধুমন্তি-ঠাট্টায়,
উর্বর করে তুলছো প্রেম ঐশ্বর্যে সমগ্র অস্তিত্ব;
কুমারী, তাহলে বলো, তোমার হাতের লেখাটিও কি নয় প্রেম পটিয়সী!
আমার মনোভুবন বলে ওঠে অজান্তে, আমি তো প্রেমে পড়ছি তোমার,_ রাজকুমারী;


তোমার অনবদ্য শব্দমালায় অঙ্কিত  
সরণির পর সরণি দিয়ে হেঁটেছি কত রাত এবং কখনোও বা দিবসে,
গোধুলির আলোতে একবার, ফুটে উঠেছিল তোমার কলমের শব্দরূপ,
স্বর্ণালী প্রেমের এক ব্যাখ্যাহীন সুখের আবেশে;
তাই বলেছি, তোমার হাতের লেখাও দুর্দান্ত প্রেম পটিয়সী!


যেনো সূক্ষ্ম হাতে সাজানো এক নীড়,
সব শব্দ-চিহ্নের সজ্জা বসিয়েছো উপযুক্ত স্থানে,
আর তোমার অমোঘ শব্দের ভীড়,
প্রাঞ্জল ঘিরে রেখেছে প্রধান বিষয়টির ওপর দুর্দান্ত অঞ্জলি প্রদানে;
সরণির পর সরণি বেয়ে আমি অবশেষে পৌঁছোই গন্তব্যে,
যেখানে তোমার ঋদ্ধ এবং ঋজু শেষ সমাপনী চিহ্নটি,  
নিয়ে আসে আমাকে এই সিদ্ধান্তে_, আমি তোমাকে ভালোবাসি;

তাই তো বলেছি রাজকুমারী, তোমার হাতের লেখাও এক সুন্দরীতমা, দুর্দান্ত প্রেম পটিয়সী!


(১৩.০১.২০২১)