সুনীল; তোমার মধুর সে কথাটি,
হৃদয় পটে চির উজ্জল রবে;
“আ-মরি বাংলা ভাষা অমর হয়ে
বেঁচে থাকবে শুধুমাত্র,
বাঙালিদের স্বাধীন বাংলাদেশে”।


সুনীল; বুকশেল্ফে তোমার
বইগুলো থরেথরে যত্নে সাজানো;
আজো তারা ছড়িয়ে যায়,
অন্য এক জীবনের আলো;
পুড়িয়েছি আলোকিত আনন্দে,
রক্ষণশীলতার যতো কালো।


সুনীল, বলেছিলে প্রয়োজন হলে,
জাহাজে আলু কাটার চাকুরি নিয়ে,
দেখবো পৃথিবী; আমি পারিনি,
তবু দেখেছি তোমারই কলমে,
পৃথিবীর সৌন্দর্য্য, জীবনের আনন্দ-গ্লানি।


সুনীল কখনো বলোনি নীরা কে!
কোথায় থাকে! হেসেছো শুধু
মুখ টিপে! অজানা এক সুখের কষ্ট
বুকে নিয়ে, পুরোটা কিশোরকাল,
খুঁজেছি নীরাকে।


সুনীল, অবশেষে বুঝেছি নীরা কে?
যত অপূর্ব নারী দেখেছো তুমি,
অভিযাত্রিক জীবনটি জুড়ে, তাদের
মুহূর্তের সৌন্দর্য্যগুলোই, কবিতায়
দিয়েছো তুমি নৈবেদ্য, নীরাকে।


সুনীল কেউ কথা রাখলোনা,
তোমার কবিতা-উপন্যাসের
যত জেদ, যন্ত্রণা; দিয়ে গড়েছি
আমার ব্যর্থ জীবন, কান্না;
তবুও সুনীল, তোমার জীবনদৃষ্টি!
কক্ষোনো ভুলবোনা।


(২৩.১০.২০২০)
(*আমার জীবনের প্রধান প্রিয় কবি এবং সাহিত্যিক, যার লেখা পড়ে কেটেছে আমার কৈশোরকাল, গড়েছি এক রোমান্টিক আবেগী জীবন, দেখেছি রোমান্টিক ভুবনের অধরা স্বপ্ন, সেই অমর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর প্রয়াণ দিবসে, আমার অনন্ত অসীম ভালোবাসার শ্রদ্ধার্ঘ্য।)