তোমাকে বলা হয় না;
কোমল সূর্যদের উদয় দেখি তোমার মুখে প্রতিদিন,
রাত আকাশের আঙ্গিনায় প্রিয় যত নক্ষত্র হেটে যায়
                                         তোমার চোখে অন্তহীন;
খোলা মাঠে আঙ্গুল তুলে তুমিই দেখাও পূর্নচন্দ্রের রূপালী সুখ,
দৌড়ে টেনে নিয়ে যাও নদীর কিনার, দেখাতে জল অপরূপ;
কোন কবি হঠাৎ যদি,
জীবন চেনায় অবিশ্বাস্য সব বাক্যে,
প্রথমেই সে কবিতা তুমি শোনাতে চাও শুধু আমাকে;
তুমি চাও আমিই থাকি তোমার পাশে জীবনের যত নিবিড় আনন্দে;
                                                   তবু বলা হয় না তোমাকে!


তোমার সকল দুঃখ কষ্ট অভিমান, তার পাশে আমি সতত সৈনিক,
তোমার নিষ্পাপ স্পর্শেরা করে তোলে আমাকে, আরো নির্ভীক
এক বীর, শুধু তোমার হাসিটুকু রেখে দিতে নিরাপদে,
তোমার চোখের অনুভবেরা আজ আমাকে তাই বলে - তবু বলা হয় না তোমাকে;


একদিন কবিতার মতো ভেবে নেয়া
আমাদের সুখ-দুঃখ গুলো, কেড়ে নেবে আমাদের এখনকার জীবন, জানি;
সেদিনের রক্তক্ষরণে জন্য কোনো যোগ্য আধার তৈরী করে রাখিনি;
তোমার হৃদয় একদিন হয়তো কবিতাদের খুঁজবে না আর
সেদিনের জন্য কোনো অলঙ্কার - আজো গড়তে পারিনি;
সঞ্চিত করিনি অমূল্য রত্নরাজি, সাত মহলার চাবি;
গড়ে রাখিনি মনের মাঝে,
                        পুরো জীবনের জন্য সুষ্ঠ এক নিরাপদ বেষ্টনী;


তোমার সুখে একটি পুরো সমুদ্র হেসে ওঠে,
তোমার দুখে জ্বলে ওঠে একটি সমগ্র অরণ্য আমার বুকে;
একটি অজানা স্রোত বিষন্ণ বয়ে চলে শুধু
                      তবু আড়াল করে রাখি তোমার থেকে;
তোমার যত সৌন্দর্য্য,
তার দাবী না হয় থাকুক অন্য কারো যোগ্য হাতে;
তাই হয়তো বলা হয় না, কোনোদিন বলা হয় না তোমাকে।


(২৮.১০.২০২০)