এই দেখ, একদিন উঁকি দিয়েছিল
এই নদীটি কেমন করে;
মনে পড়ে, সেই কবেকার দূরের শৈশবে
বসেছি শীতলক্ষ্যার পাড়ে
লিখেছিলাম সেদিন হয়তো প্রথম
কোনকিছু ডায়েরীতে কবিতার মতো করে
সে যেন প্রথমবার আর শেষবার যেন
পেয়েছি নদীর ভালোবাসা
এক মুগ্ধ কিশোর শহুরে
শুনেছি নদীর আত্মা জলের নিমগ্ন ধ্বনি
এরপর ফেরা যে হলো না আর
কোনোদিন এ বাংলার কোনো নদীর কিনারে
তারপর হারিয়েই গেছি জন অরণ্যের
বিভাময় এ শহরে
আর তো খুঁজিনি কোন নদী
এ শহরে বেঁচে থাকার শৃঙ্খল আর
শাসনের জাদুকরী সুরে
তবু বয়ে যেত কত নদী হৃদয় গভীরে
স্রোতের মতন কষ্ট নিয়ে
মুছেছি কত না দুঃখ পীচ ঢালা পথ
ইটে ও পাথরে
গিয়েছ তোমরা বারে আর বারে
পারিনি দেখিনি আর আমি
কোন মোহন নদীরে
তারপর পথ শুধু পথ
পাড়ি দিয়ে শহর জীবন
বয়সের মহিমায় হৃদয় যাদের
ভেঙ্গেই যখন পড়ে
তেমনই যে একজন আমি
এই আমাকে আশ্চর্য করে
কেন যেন দেখা দিল নদী
দেখা দিল পদ্মা
উঁকি দিল যেন
অজানাতে ভরে ওঠা নোনা জলে
এই হৃদয়ের নিবিড় গভীরে
উঁকি দিলো যেন
কোনো অমোঘ স্পর্শের সান্ত্বনার মতো করে
যেন বা অর্পিত হলো আমার উপরে
কোনোরূপ সম্পূর্ণতা
উঁকি দেয়া পদ্মার এ মুগ্ধকর তীরে।


(১৩.১১.২০২২)