উপেক্ষাই মন্ত্র!
বলে গেলেন এক নিখাদ সাধু কবি
রাজহাঁসের মতো অভিক্ষেপ
সব অচ্ছুতকে উপেক্ষা করে,
মন্দ্র চলন
শান্তি টেনে আনে জীবন জোয়ারে


তা সত্বেও কবি
আমিতো পারিনি, বুর্জোয়ার আণবিক বোমা
হৃদয়ে স্থাপন করেছি
কুৎসিত রাজতন্ত্র - হাসি আমি সহাস্যে
আজ তারা নিছকই তাসে তাসে রাজা রানী
তবে খুঁজে মরি হায়, সখা গণতন্ত্র
কোন বনেতে গেছে বনবাসে?
কবে নবাবের নীল রক্ত
খুঁড়ে মহান হবে, সাম্যের লাল,
শ্রমিকের কাস্তে


উপেক্ষাই মন্ত্র উগ্র তলোয়ারে
উপেক্ষাই মন্ত্র তার ত্রাসে মৃত্যুকালে
যদিও মৃত্যু, আমি যে হবো অমর
সম্রাটসম, চিরায়ত স্তম্ভ, ধর্ম সাম্যবাদে
তবু সুখী!
উগ্রর নিয়তি
চিরতরে বাদুড় প্রজাতি, অনিকেত অন্ধকারে


উগ্রবাদী কবিতার যত অশ্লীল
শব্দ জঞ্জাল, নির্বোধের কালি কাগজ
পোড়াবে প্রগতিশীল


প্রগতিশীল যৌগ পৃথিবীর
উদয়রাঙা উষ্ণ সব ভোরে।


(০২.০৬.২০২০)


(* কবি বিভূতি দাস কে উৎসর্গ। তাঁর ”শুনতে পাচ্ছো” কবিতায় আমার মন্তব্যের, চমৎকার এবং বিচক্ষণ উত্তরে এ কবিতা উদিত হয় আমার মননে। “উপেক্ষাই শান্তিতে থাকার একমাত্র পথ বলেই আমার ধারনা। রাজহাঁসের আচরণ আজকের সময়ের পক্ষে সহায়ক।” দুর্দান্ত তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি! প্রিয় কবি আপনার জন্য অশেষ শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা।)