থমকে দাড়িয়েছি,
পিছনের অমলিন হাহাকারে-
যেখানে ধুলো বালির ঝড় উঠে,
পারা না পারার উৎকণ্ঠায়,
মেতে ওঠা চায়ের দোকানের বেঞ্চে;
এখন নীরবতা বিরাজ করে,
শুধু নীরবতা।
যেখানে;
প্রখর রোদে একফোঁটা বৃষ্টির আহ্বান ছিল,
সেখানে, শহরের কাকেরা আজ অবাধে-
এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে,
পার্কের সেই জায়গায়-
প্রেমিকেরা হয়তো চিহ্ন এঁকে গেছে,
কিন্তু প্রতিদিনের সেই সময়টায়-
আজ দূরত্বের ব্যবচ্ছেদ গুনছে।


থমকে দাড়িয়েছি আবারো,
রাজপথের পুরনো কোলাহলের চিৎকারে-
যেখানে, বাস-ট্রাক আর-
রিকশাওয়ালাদের মিছিল চলতো অনায়াসে,
যেখানে;
ভোরের সেই আলোর অপেক্ষায়
যারা ব্যস্ত হতো-
আজ তারা মলিনতায় ঢেকে গেছে,
বিষাদের অন্ধকারে হাবুডুবু খেয়ে,
তীরে ওঠার আকুতিতে সিক্ত-
হয়ে অনেকে হাল ছেড়েছে-
বিদায়ের ঘন্টা বাজার আগেই,
অনিচ্ছায় বিদায় নিয়েছে অনেক ভবিষ্যৎ।
সেখানে;
কোণঠাসা হয়ে পড়ে আছে-
মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত,সহিতে সহিতে কঙ্কালসার
তবু;যদি যায় মান; এ ভয়ে গ্রাস করেছে প্রাণ।
শহরের বুকে স্বপ্ন দিয়ে কবর,
পাড়ি জমিয়েছে দুই চোখের ভরসায়-
এমনি করে হাহাকারে স্থবির আজ-
চিরচেনা ইট-কাঠ-পাথরের শহরের ভাজ।।