আমার শিরায় উপশিরায়
ধমনিতে বইছে
রক্তের বদলে বিষ ।
চার দশক ধরে একটু একটু করে
এ বিষ ঢুকেছে আমার দেহে ।
ধীরে ধীরে আমার লাল
রং এর রক্ত গুলো
নীল রং এর বিষ এ পরিণীত হয়েছে ।
আজ আমি মানুষ থেকে হয়ে যাচ্ছি দানব ।
সময়ের ঘড়িকে যদি পিছিয়ে নিতে পারতাম,
আমার শিরায় উপশিরায় ধমনিতে
আবারো রক্তের প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে পারতাম ।
আমার চারপাশে আমি দেখি উঁচু উঁচু অট্টালিকা
দেখি শপিং মল আর নোংড়া কোলাহল ।
সর্বত্রই দানবের দাপা দাপি, লাফা লাফি
আর হানাহানি ।
আমি এখন আর মানুষ দেখিনা ,
দেখি শুধু দানব ।
যে দানবগুলোর রক্তের রং নীল হয়েগেছে,
‘ওহ ’ওতো রক্ত নয় ওতো বিষ।
দানব গুলোর হাসি যেন
খোয়ারের নোংরা শূকরের খোৎ খোৎ শব্দের মত ।
ওদের নির্মমতা যেন হিংস্র কোন আজানা প্রাণীর মত ,
যে প্রাণীর অস্তিত্ব এই পৃথিবীতে নেই ।
ওরা মানুষকে টুকরো টুকরো করতে পারে
ওরা দেশকে অস্বীকার করতে পারে
ওরা বিনা কারনে ঘরে বাইরে আগুন লাগাতে পারে ।
আজ যারা এখনো দানবে পরিণত হয়নি    
তাদের ঠাঁই হয়েছে ঐ যে পথের ধারে
না খাওয়া,ভুখা নাঙ্গা আর মার খেয়ে পরে থাকাদের দলে ।
পরাধীন ছিলাম বুহুদিন আগে
সিন্ধুর তীরে থাকা কিছু পশুর হাতে ,
মারলাম পশু হলাম স্বাধীন
পেলাম পুরোন পরিচয় আবার নতুন করে ।
তখনো যে রক্ত বইতো আমার
শিরায় উপশিরায় ধমনিতে ।
পশুর রক্ত আর মানুষের রক্ত মিশে
জন্ম নিল হিংস্র দানব ।
রক্ত হয়ে যেতে থাকলো বিষ ।
পিতার রক্ত খেল, মাতার রক্ত খেল
রক্ত খেল ছোট শিশুর ।
তবুও দানব গুলোর রক্তের তৃষ্ণা রয়েই গেল ।
চার দশক ধরে একে একে সবার রক্তে
ঢুকিয়ে দিল দানবের বিষ ।
আজ সেই বিষ ছেয়ে গেছে
আমার চোখে আমার মুখে
আমার দেহের সবখানে ।
দুই দশক পুরলাম ভয়ের জ্বরে
এদিক সেদিক চেয়ে ।
দুই দশক পর জ্বর সারলো গাঁ ঝারা দিয়ে ।
ততদিনে আমার শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে
ছেয়ে গেছে বিষ ।
আমি শিখে গেছি রক্ত চোষার মত
রক্ত চুষে খাওয়া ।
আমি শিখে গেছি কাল টাকার পাহাড় গড়ে
গরিব ছোটলোক পোষা ।
আমি শিখে গেছি  নিজের আঁখের গোছা গুছিয়ে
বিধাতা সেঁজে বসে থাকা ।
আমি জেনে গেছি  কে নাস্তিক
আমি জেনে গেছি  কে আস্তিক
আমি জেনে গেছি  সভ্যতার নামে
নোংড়া মেলামেশা ………….।