এখনো অনেক রাত ভোর হবার অনেক বাকি
কাল আকশে কাল মেঘের ঘনঘটা,
দুর্লক্ষ্য এই দিগভ্রম পথ পাড়ি দিতে হবে
পথ খুঁজে খুঁজে খুব সাবধানে এই জঙ্গলময় রাজ্যের গোলক ধাঁধাঁর পথে।        
চারপাশে যে দঙ্গল বেঁধে আছে বিষাক্ত হিংস্র নরখাদকেরা মানুষের বেশে।
লাশ দেখে আমি আঁতকে উঠি,
পথের মধ্যে পড়ে থাকা লাশ গুলো আমায় দেখে যেন জীবন ফিরে পায়,  
আমার কানে কানে যেন ফিস ফিস করে বলে যায়,
‘পালাও পালাও পালাও ......পালাও এখনা থেকে ......
হিংস্র নরখাদকেরা ওত পেতে আছে এখানে সেখানে ।’
লাশের ফিসফিসানিতে আমি ভয় পেয়ে যাই কাঁটা দিয়ে উঠে সমস্ত গাঁয়ে,
মনে মনে আমি বলি আমার যেতে হবে বহু দূরে......।  
যত দূর এই দু চোখ যায় ততোদূর শুধু কৃষ্ণ পক্ষের আঁধারেই চোখ আটকে থাকে,
জোনাকিরাও স্বেচ্ছায় নির্বাসন নিয়েছে এই জঙ্গলের রাজ্য থেকে,
ঐ আকাশের চাঁদটাতেও বোধহয় মরিচা ধরে গেছে  
তাই এই আঁধার কাল রাত্রিতে নিজের রূপালী আলোর বিকিরণ ঘটাতে পারে না ।
তবুও আমায় যেতে হবে দূর বহু দূর নব আলোর খোঁজে ।
পথে নরখাদকের সাথে যোগ দিয়েছে নগ্ন উম্মাত্ত নৃত্যের সাথে আলেয়ারা,  
তার সাথে আছে নিশির গৃহছাড়া মায়াবিনী মধুর ডাক,
যে ডাকে সাড়া দিয়ে পথ হারিয়ে পথের মাঝেই নিখোঁজ
আলোর খোঁজের হাজারো পথিকেরা ।  
দিবাকর সেই যে কবে নিরুদ্দেশ হয়েছে এই জঙ্গলের কানুনের দেশ থেকে ,
তাইতো আমি সব ভয়কে করে জয় মনে সাহসের নব জোয়ার সঞ্চয় করে
দুর্লঙ্ঘ্য এই কন্টযুক্ত পথকে অতিক্রম করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে  
নেমেছি একা এই জঙ্গলময় রাজ্যের গোলক ধাঁধাঁর পথে;
মোচন করতে এই দুর্মোচ্য কালের দুর্বিপাকের অশান্ত সময়ের  
মজবুত কাল দেয়াল ভেঙ্গে
দিবাকরের আলোকে আবার ফিরিয়ে আনতে এই নরখাদকের দেশে ।