পাড়া মহল্লা ঘুমিয়ে পড়েছে, ঘুমিয়ে পড়েছে আকাশের চাঁদটাও    
দূরের নেড়ী কুকুরটাও অনেকখন ঘেউ ঘেউ করে ডেকে
ক্লান্ত হয়ে ঘুমের রাজ্যে নিজেকে সপে দিয়েছে ,
নিশাচর দু একটা পাখি ডানা ঝাঁপটিয়ে
ইঞ্জিনের মত শব্দ করে কাল শূন্য নভর বুকে ভেসে বেড়ায়।  
দম্পতিদের সুখকর শীৎকারও থেমে গেছে
নিরব হয়ে গেছে ইট পাথরে গড়া এই নগরী ।
শুধু জেগে আছে ঐ রাস্তার পাগলটা...।
নির্ঘুম চোখে বিরবির করে এক মনে প্রলাপ করে যায় সারা রাত
চুলে জট পাকা নোংড়া ছেড়া জামা পরা সেই পাগলটা,
“ এই মৃতদের দেশে সব শালারা মৃত...  
আমি একা বেঁচে আছি এই মৃতদের মাঝে...।
যারা চোখ থাকতেও কিছু দেখেনা,  
যাদের কান থাকতেও কিছু শোনে না  
যারা মুখ খুলে কিছু বলে না ...।
যারা বুঝেনা ন্যায় যারা বুঝেনা অন্যায়...।
এই মৃতদের রাজত্বে রাজত্ব করে বেড়ায়
মৃতদের গাঁ থেকে তাজা রক্ত চুষে খায়
কিছু রক্ত চুষার দল।
শালা মৃতদের দেশে আমি একা জেগে আছি
নোংড়া পঁচা নর্দমার কিছু রক্ত চুষা কিরাদের সাথে লড়াই করে ।
আমি চিনে গেছি সেই রক্ত চুষাদের শালার মরারা এখনো জাগলো না ।
না শশ্মান না কবরস্থান তবুও এই দেশে জীবনের নেই লেশ.........।”
পাগলের প্রলপ চলতেই থাকে আর রাত পেরিয়ে প্রভাত আসে
শুরু হয় আর একটি দিন আর দিন শেষে রাত
আর রাতে সেই পাগলের প্রলাপ।।