আমি আমার অস্তিত্ব খুঁজে বেড়াই
নোংরা জঞ্জালে ভরা এই নষ্ট পঁচা সমাজে ।
ডাস্টবিন থেকে যেমন
পথ শিশুরা খাবার খুঁজে বেড়ায়,
কাক যেমন ময়লা আবর্জনা খুড়ে খুড়ে খায় ।
আমিও তেমনি আমার অস্তিত্বকে খুঁজে বেড়াই  
স্মৃতির লোনা ঘোলা জলে আর
মিথ্যাচারের ধ্বংসযজ্ঞের নিচে ।
পাহাড় ধ্বসে যে ভাবে মাটি চাপা পড়ে  
সুনামি এসে যে ভাবে সব গ্রাস করে
মৎস্যন্যায়ে যে ভাবে বড় বড় মাছগুলো
ছোট ছোট মাছগুলোকে গিলে ফেলে,
ঠিক সেই ভাবে আমার অস্তিত্বগুলো বিলীন হয়েগেছে ।
আমি আমার অস্তিত্ব খুঁজে বেড়াই
তমিস্র আঁধার রজনীতে ধূ ধূ মরু প্রান্তে
যেখানে মরা লাশের পঁচা গন্ধ
বাতাসে ভেসে বেড়ায় ।
যেখানে লাশেরা মিছিল করে
শেয়াল কুকুরের দাবায় ।
শেয়াল কুকুর গুলো হানা হানি আর দাপা দাপি শুরু করে
কে ছিঁড়ে নিয়ে যাবে লাশ গুলো ।
ঐ খণ্ড বিখণ্ড লাশ গুলোর মাঝে
আমি আমার অস্তিত্বকে খুঁজে বেড়াই ।
চার পাশে তাকালে দেখি
দানবগুলো বাসা বেঁধেছে অদৃশ্যতার মাঝে ।
আমি শুনতে পাই দানব গুলোর শিৎকার ,
কি বিভৎস কি নোংরা তাদের হাসি ।
ওরা চেয়ে থাকে আমার দিকে পলকহীন দৃষ্টিতে
যে দৃষ্টিতে আমি দেখি অতৃপ্ততা আর ক্ষুধা,
ওরা একে একে সবার অস্তিত্ব গ্রাস করে নিবে
যেমনটা করেছে আমার অস্তিত্বকে ।
আমি আমার অস্তিত্ব খুঁজে বেড়াই
রক্তের লাল রং দিয়ে রাঙিয়ে যাওয়া হলি খেলায় ।
এই রঙের দাগ যে ছড়িয়ে গেছে সব খানে  
এ যে বড় বেহায়া আর বেশরম রক্ত  
এ রক্তযে পথের ধারে পরে থাকা গরিব ছোটলোকের রক্ত ।
আমি খুঁজে বেড়াই নিজেকে
ঘুণে ধরা জীবন্ত মানুষগুলোর মাঝে ,
আমি বিলীন হয়ে গেছি তাদের মাঝে থেকে বহু দিন আগে ।
দাবানলের আগুন যেমন সব পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়
তেমনি জীবন্ত মরা মানুষগুলোর ভেতর থেকে
আমাকে ধ্বংস করে
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে নিঃস্ব করে দিয়েছে ।  
আজ আমি আমার অস্তিত্ব কে খুঁজে বেড়াই  
বিষক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার মত করে ।