বাড়ির উঠানে এলোমেলো ভাবে পড়ে আছে ঘরের সব জিনিস পত্র
আর ভিতরে ঘরের খামের সাথে বাঁধা তার হাত, পা আর মুখ ।  
তার সামনে আধ নগ্ন নারীর ভাঙ্গা কন্ঠের আর্তনাত আর গলা ফাটা কান্না,    
সাথে নিজের উপর নিজের আভিশাপ, হে ভগবান হে ঈশ্বর আমায় তুমি তুলে লও।
মুখ ঘুরিয়ে নেয় সে লজ্জায়, দু চোখকে ধিক্কার দেয় এই বুঝি দেখার বাকি ছিল,
ওর পাশেই হাত পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে ওরই বৃদ্ধ পিতা,
লজ্জায় বোধ হয় বুড়ো মারাই গিয়েছে এই মুখ কি ভাবে দেখাবে সে
কি ভাবে ডাকবে সে তার প্রাণ প্রিয় বউ মা কে ,
কি করে তার আদরের এক মাত্র মেয়েটাকে বুকে জড়াবে?
হে ভগবান আমায় তুলে লও হে ঈশ্বর আমায় তুলে লও
একই সুরে আধ বুড় মেয়ে ছেলেটাও চেঁচাচ্ছে গলা ফাটিয়ে  
আকাশ বাতাস সব এক করে তার আদরের মেয়েটার পাশে বসে ।
কাল রাতে এই আধ বুড়ির সাথে ওকেও যে রেহায় দেয়নি মানুষ রূপের কিছু নেকড়ের দল।
বাবার সামনে তার মেয়ের ইজ্জত করেছে হরণ,
ছেলের সামনে তার মার...।
সাজানো ছোট্ট মাটির ঘরে নুন আনতে যাদের পান্তা ফুরায়  
নেই তারা কাওর আগে ও পরে তবু কেন তাদের ঘরে আজ আগুন জ্বলে?
দেবে কে এর উত্তর?
কাল রাতটাও ছিল বাকি আট দশ দিনের মতই, ক্লান্ত শ্রান্ত দেহ নিয়ে  
চারটা দানা পানি পেটে দিয়ে শান্তির ঘুমের নিজেদের কে সপে দিয়েছিল,
হঠাৎ নিশী রাতে নরক যেন নেমে এলো এই ধরারই বুকে,
আকাশে বাতাসে ভেসে এলো আর্তনাত, হাহাজারি
আর আকুতি বিনতি দয়া ভিক্ষার করুণ আত্মচিৎকার।
“বাবা আমি আপনার ধর্মের মেয়ে আপনি আমার ধর্মের বাবা
আমায় নষ্ট করবেন না আমায় ছেড়ে দিন ভগবানের দোহাই
আপনার আল্লাহর দোহাই।”
কোন কিছুই যেন তাদের কানে যায়না কোন কিছুই যেন তারা বুঝেনা
কোন কিছুই যেন তারা দেখেনা।
তারা যেন বোবা তারা যেন কালা তারা যেন অন্ধ...।
তারা শুনেনা কিশরী মেয়ের আত্মচিৎকার
“ আমারে আমার বাবার সামনে নষ্ট কইরেন না আমারে ছাইরা দেন...।”
তারা দেখে না এক গৃহ বধূর লজ্জা, তার নগ্ন দেহটাকে চিল শকুনের মত
ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে তারই স্বামী শশুর সন্তানেরই সামনে একের পর এক হায়না।
তারদের যেন মন বলতে কিছু নেই...।  
তারা যেন সিমারের চেয়েও অধম বনে গেছে আজ দেহের ক্ষুধায়।
কিশরী ছোট মেয়েটার ইজ্জত ভিক্ষা চেয়ে তার মা তাদের পায়ে পরে,
“ তোমরা ওরে ছাইড়া দাও আমারে নাও.........।”
তারা কিশরীর সাথে তার মাকেও ছারেনা
সারা রাত চলে শিৎকারের মাতাম দেহের বাসনায় ।  
একের পর এক ...একের পর এক
পালা বদলের শিৎকার শুনে বুড়োর হৃদপিণ্ড যায় থেমে,  
ছেলে তার বলে চোখ দুটো আমার এখনো কেন আস্ত হায়,
এ পোড়া চোখ দুটো কেন অন্ধ না হয়ে যায়?  
ভোর হতেই পালায় পশুরা যে যার আখড়ায়  
জিন্দা লাশের মত ঘরে পড়ে থেকে ওরা
মা, মেয়ে, বঁধুয়ায়।  
এক রাতের সুখে উম্মাত্ত শিৎকার শেষে ক্লান্ত হয়ে
হায়না গুলো ফিরে যে যার বেশে।
পশুগুলো পবিত্র হবার লেবাস ধরে আলগা মুখশ পড়ে
ধর্মের বানী আওরায় তারা মুখুশের অন্তরালে ।
এ লজ্জা আমি রাখি বল কোথায় কোন খানে  
আমি মানুষ সৃষ্টির সেরা বলি বল কি ভাবে??