কে তুমি এলে এ নিশিথ নির্জনে
গা ছম ছম করা এই মহাকালের পথে ।
মৃদু বাতাস বহে
গাছের পাতা নড়ে ,
শরীরে উঠে ভয়ের শিহরণ ।
আমি একা চলছি পথ
মহাকালের মহাপথ ধরে
অজানা দিগন্তের দিকে ।
হঠাৎ অনুভব করি পাশে কে যেন আমার সাথে,  
আমি দেখিনা তারে
সে দেখে আমারে ।
দুর্নিরীক্ষ্য কাঁটা ভরা পথ আমার
চলছি রক্তের ব্যঞ্জনা বয়ে ।
দক্ষিণা মৃদু হাওয়ায় আমি স্বেদাক্ত ,
চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ আর স্বেদ ।
আমি ক্লান্ত আমি শ্রান্ত
এই মহাকালের পথে ।
কে যেন আছে আমার পাশে
সমান তালে হাঁটছে আমার সাথে
এই মরুময় কাঁটার পথে ।
দূরের ধ্রুব তারার আলোর মত
মৃদু আশার প্রদীপ জ্বেলে
আমি চলছি একা অর্থহীন
অর্থবোধক সময়ের পথে ।
কখনো আলো কখনো আঁধার
কখনো ছায়া কখনো মায়া
কখনো বিষাক্ত বাতাস ।
কে যেন হাঁটে আমার পাশে
আমার পথ অনুসরন করে ।
আমি সুধাই তারে
শূন্যের দিকে চেয়ে,
কে তুমি হাঁটছো আমার সাথে
এই মরুময় মহাকালের পথে ।
আমি দেখিতে পাই তোমারে
শুধু অনুভব করে যাই এই চলতি পথের মাঝে ।
জবাব পাই আমি তার কন্ঠ ধ্বনি থেকে,
“ আমি যে ছায়া সঙ্গি
তোমার মহাকালের পথে ।”