চার দিকে ধোঁয়া আর গুলির শব্দ
আগুনের লেলীহান শিখার জিহ্বা লিক লিক করে উঠা
সর্ব ভুক্ষের ন্যায় সব কিছু খেয়ে ফেলার জন্য...।
কানে ভেসে আসে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের ইন্টারগ্রেশন রুমে থেকে
অত্যাচারে ব্যাথায় কাতর কিছু মানুষের “ও মা...মা গো”করে করুণ চিৎকার  
আর কিছু হায়নাদের অট্টহাসি ।
পথে পথে ভীত সন্ত্রস্ত মানুষের পলায়ন আর হাহাজারী ,  
কানে ভেসে আসে ধর্ষিতা নারীর চাপা কান্না ।
চোখের সামনে দেখি নদীর ধারে মুক্তি পাগল মানুষের গলা কাটা লাশ
ধরহীন দেহ নিয়ে কুকুর আর শেয়ালের কাড়াকাড়ি।  
সন্তান হারা মার মাথা চাপড়ানোর সাথে বিলাপের করুণ শব্দের
বরাবরের মত আজও আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল ।
বার বার একই স্বপ্ন দেখে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়
স্বপ্ন ভাঙ্গার পরও আমি থাকি তন্দ্রায় আচ্ছাদিত,
ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন আসে সাদা কাল, ঘ্রাণহীন, ছাড়া ছাড়া...।
স্বপ্ন ভাঙ্গে কিন্তু দুঃস্বপ্ন কাটেনা,
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আমি জেগে থাকি, স্বাধীনতার দীর্ঘশ্বাস শোনার জন্য,
আজও গুলির শব্দে কানে তালা লেগে যায়,
আজও ধর্ষিতা নরী, শিশু আর কিশোরীর চিৎকার শোনা যায়  
আজও গলা কাটা লাশ পরে থাকে পথের ধারে ডাস্টবিনের ময়লা আবর্জনায়,  
আজও প্রাণো ভয়ে কোলে দুধের শিশুকে নিয়ে ভীত মায়ের পলায়ন হয়
বাড়ীর পিছনের নোংরা ডোবায় ,
আজও আগুন জ্বলে পথে ঘাটে, আজও আগুন জ্বলে গ্রাম গঞ্জে ঘরে ঘরে,  
আজও কানে ভেসে আসে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের ইন্টারগ্রেশন রুমে থেকে  
অত্যাচারে ব্যাথায় কাতর কিছু মানুষের “ও মা...মা গো” করে করুণ চিৎকার,
আর পোশাক পরিহিত পাষাণ কিছু নীতিহীন বন্দুক ধারীর টাকার স্লোগান ।  
আজও বুড়ো মা তার বুক চাপড়ায় আর হাহাজারী করে বিলাপ পারে
তার নাড়ী ছিরা ধন তার খোকার লাশের নিয়ে ।
স্বাধীন হয়েও আজ আমি পরাধীন,
হাজারো পরাধীনতার শিকল যে ওরা জড়িয়ে দিয়েছে আমার পায়ে ।
স্বাধীন হয়েও আমি নিঃশ্বাস নেই লাশের গন্ধে ভারী হয়ে যাওয়া বাতাসে ,
এ লাশের গন্ধ যেন আমায় স্বপ্নের ভিতরে আসা বর্ণহীনতার, ঘ্রাণহীনতার
অভাব ঘুচিয়ে দেয়।  
স্বাধীন হয়েও আমি স্বাধীনতাকে খুঁজে বেড়াই , কোথায় স্বাধীনতা ?  
কোথায় তুমি ? স্বাধীনতা তুমি কি বন্দী আজ?  
তুমি কি বন্দী ক্ষমতা লোভিদের ঐ লোহার খাঁচায়?  
ভয় নাই স্বাধীনতা আমরা আর ঘুমিয়ে নেই
আমরা জেগে গেছি আবারো তন্দ্রা বিলাসিতার থেকে,
আমরা ভেঙ্গে ফেলবো তোমার লোহার খাঁচা
তুমি অপেক্ষায় থাকো আমরা আসছি নব তারুণ্যের নব উম্মদনার নিশান উড়িয়ে ......।