যুগের পর যুগ ধরে জ্বলছি আমি কলঙ্কের অঙ্গারে,  
এত জ্বালা এত ক্ষোভ এত ঘৃণা আমি রাখি বল কোথায় কোন খানে?  
আমার বক্ষ জুড়ে দানব গুলোর দাপা দাপি, অট্ট হাসি আর চিৎকার,  
আমারই লাল সবুজ গাঁয়ে মেখে বছরের পর বছর ধরে
ঘুরে বেড়িয়েছে দাপটের সাথে নিরীহ মানুষগুলোকে বোকা বানিয়ে  
তাদেরই রাজপৌর সেজে নির্বিকার।
অনেক যুগ আগে শ্বেত ভিনদেশীদের কাছে
দিয়ে ধর্মের দোহাই, দ্বি-জাতি করে  
তুলে নিল আমায় উনুনে সেকা তাওয়ার রুটির মত করে
পবিত্র ভূমির নাম দিয়ে এক রুগ্ন জেলের কয়েদীর ঝুলিতে ।    
রুগ্নতার বেড়া জালে বেঁধে,লাল রঙ্গের হোলি খেলার ছলে
ভাষা চেয়েছিলে নিতে কেড়ে পবিত্রতার অজুহাতে ।
রক্ত দিয়ে কিনলো ভাষা আমার পবিত্র সন্তানেরা,
রক্ত দিতে দিতে রক্তও নিতে শিখেগেল অবশেষে ,  
পবিত্রতার নামের অপবিত্র ঝুলি থেকে আমায় নিল তুলে  
ঐ হিংস্র পশুদের অশুভ থাবা থেকে বীর যোদ্ধার বেশে
আকাশে বাতাসে বিজয়ের ধ্বনি হাঁকিয়ে ।  
পশুগুলো গেল পালিয়ে,ছেড়ে গেল তাদের দুর্গন্ধযুক্ত বিষ্ঠা ,
বিষ্ঠা গুলো দনবের রূপ নিয়ে মেতে উঠলো এক হিংস্র উম্মাদনায়,
বেয়াল্লিশ বছর বুক ফুলিয়ে, ধর্মের মোড়কে নিজেকে লুকিয়ে
আমার শরীরকে ক্ষত বিক্ষত করে আগুনে পুড়িয়ে ছাই উড়িয়ে দিয়ে
সবাইকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে অট্টহাসি হেসেই যাচ্ছিল।
আজ এত কাল পড়ে আমারই মাটিতে এক বৃষ্ঠা দানবের
পঁচা আত্মাটাকে নরকের আস্তাকুড়ে ফেলে,
কলঙ্কের বোঝা কিছুটাও লাঘব করেছে আবারো আমার বীর সন্তানেরা।