জোনাকি পোকারা যেমন তার পুচ্ছদেশের বিন্দু আলোয় অহংকারী হয়ে
চাঁদকে নিন্দা করে চাঁদের শুভ্র আলোর ঈর্ষায় জ্বলে পুড়ে মরে।
ছোট্ট একটি কুয়োর ব্যাঙ যেমন কুয়োটাকেই সাড়া দুনিয়া ভেবে
কুয়োর এপাশ ওপাশ সাতার কেটে বিশ্বজয়ের মিথ্য অহংকারে মেতে উঠে,
আর ভাবে সেই বুঝি এই দুনিয়ার একছত্র বাদশাহ আর এক মাত্র জ্ঞানী
দুনিয়াটা বুঝি তার হাতের মুঠোয়,পুরো দুনিয়াটাই বুঝি তার কুয়োর দেয়াল।
তেমনি করে ওরা মনে করে ইতিহাস চলবে বুঝি তাঁদের ভাষণের মিথ্যা দাপটে
তেমনি করে ওরা ভাবে,মহাকালের মহাগতির লাগাম বুঝি ধরবে টেনে
ঠিক যেন ঘোড়ার লাগাম টানার মত করে কি রাত কি দিনে।
আমি মহাকাল বলছি, আমার গর্ভে কত শত হাজা্র লক্ষ কোটি নরাধম
এসেছে আর নিজেই নিজের অহংবোধে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে
যেমন করে জোনাকিরা পুড়ে ছাই হয়ে যায় তাঁদের বিন্দু আলোয়ের অহংকারে,
যেমন করে কুয়োর ব্যাঙ্ মহাসমুদ্রের বিশালতা না দেখেই
কুয়োরতলেই সাতার কেটে জীবন পার করে দেয় তার মিথ্যা অহংবোধ নিয়ে।
ওরা ভাবে মহাকালের কোন সাক্ষী নেই ওরা ভাবে ইতিহাস বুঝি ওদের গোলাম,
নদী বোধ হয় তার গতি পথ পরিবর্তন করতে পারে মহাকালের পথে
কিন্তু কেউ তার বয়ে চলা থামাতে পারে না, সে ঠিকই বয়ে যায় তার ঠিকানায়,
নদী মরে গেলেও রেখে যায় তার বয়ে চলার হাজারো প্রমান।
আমি মহাকাল বলছি, কি দিয়ে তোমরা আমায় রুখে দাঁড়াবে
কি দিয়ে আমায় মিথ্যা প্রমান করবে, তোমাদের নোংরা পঁচা বিশ্রী মুখের উক্তি দিয়ে?
সত্য কি এতই দুর্বল যে মিথ্যাকে বার বার আওরালে সে দুমরে মুচরে যাবে?
আর মিথ্যার কাছে মাথা নত করবে, আর মিথ্যা জায়গা করে নিবে সত্যের?
যখন সত্য এসেছে তখন মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে কেননা মিথ্যা সেতো বিলুপ্ত হওয়ারই জন্য।


টোলামোর, আয়ারল্যান্ড
১৭/১২/১৪ইং