অন্ধকারের অন্ধকারে অন্ধ চোখের জল,
না দেখিতে পায়, উতলা হইয়া কেনই বা খোঁজে তল?
কালো ছায়া ঢাকা পথ ধরে হেঁটে এক মহাকাল পর-
"মিছে মায়া কেন? কেন হলো হেন?" মরা শোক অতঃপর?


মহীধর বলে, "মনে আছে মোর, এইতো সেদিন সাঁঝে,
দেখিলাম বিনি মাথা নিচু করে হাঁটিছে কলসি কাঁখে।
চোখে বুঝি ছিলো জল? জানিনা, দেখিনি তবে-
বুঝেছিনু মনে টিকিছে না মন নিষ্ঠুর এই ভবে!


ওই তো রমেশ, আরে, মনে নেই তার কথা?
রেল লাইনেই পাওয়া গেল তার ছিন্ন শরীর, মাথা!


ও মা, সুধাকে ভুলিলে হবে?
জলে ডুব দিয়ে নিয়েছে বিদায়-
সে-ও তো সেই কবে!


আহা! নিতাইকে মনে নেই?
ধমনী ছিঁড়িয়া ছটফট করি হাসিয়া মরিলো সেই?


অহনাপাড়ার অনুরাধা দিদি কতই করিত স্নেহ!
লুটিয়ে পড়িলো গগনের টানে সমীরে ভাসিয়ে দেহ।


মমতা মাসি'র হাতের বালাটা আজও আছে মোর ঘরে
দেখিলেই ভাবি, বলে উঠি জোরে, "মাসি! বসো তো আমার ধারে!"
হবে না, হবে না, জানি। সত্যিই আমি জানি।
তাও তো আছেই অন্তর জুড়ে, মগজের অনেক খানি!


সহ্য না হয় প্রাণে, জানো হে নগেন কাকা,
মন মাঝে মোর শোকের পাহাড় তুষারে রয়েছে ঢাকা।
হাসিতে দেখিয়ো, না দেখিয়ো শোক, না দেখিয়ো ব্যথা ভুলে,
বৃথা এ জীবন ভাসাবো ভেবেছি তল হীন কোনো কূলে।