হ্যালো
         শ্যামা প্রসাদ ঘোষ
ওগো শুনছো,আমি একটা ভাল নেই,
আছি তবু না-থাকার মতনই লাগে!
শুনলাম তোমার একটা মেয়ে হয়েছে ,
তা বেশ, নাম রেখেছো কী?
দেখতে কেমন হয়েছে?একেবারে বাবা?
কী বললে দুষ্টু ---খুবই দুষ্টু ? আঃ
অমন করে বলতে নেই,কী এমন বোঝে?
দোষ তো ওর নয় ,ঐ শব্দটার !
শব্দটা জন্ম থেকেই রোস কাটাতে পারল না!
কতো শব্দ অর্থ পাল্টিয়ে নিয়েছে বলেকয়ে!
বাচ্ছা বুড়ো সবার ঘাড়েই পরা ওর কাজ!
আসলে কী জানো,ষ আর ট এতো কাছাকাছি-
একেবারে চালে চালে,জল গড়বে কোথায় ?
সেই রাস্তা,রাস্তার জল বাড়িতে ঢুকলে লোকে তো খারাপ বলবেই,নিকাশী তো একটাই!
আচ্ছা,খারাপ বলার জন্য ওটাকেই বলতে হবে?
আরও তো কতো শব্দ আছে----যেমন ধরো-
খুব ঝোঁকা,রোকা,বোকা--ইত্যাদি ইত্যাদি  !
জানো,আমার ও একটা মেয়ে হয়েছে!
তোমার নামেই ওর নাম রেখেছি আমি!
যাইহোক ,শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তোমার নামটাকে তো কিছুটা কাছে পাবো !
না-না আমি ছাড়া এ নামের রহস্য কেউ জানে না!ওরে বাবা গিন্নি জানলে,রাম রাম!
তা তোমার ধর্ম -আমার মতনই ডাকে তোমাকে?
না-কী সবসময় সুর বাউল বাউল?
যেমন ধরো-সকাল সকাল উঠতে পারো না?
চা-টা কী আমি রসমালাই মনে করে খাবো?
গরম জলটা বাথরুমে কী হেঁটে যাবে?
কী রান্না করেছো,সাগরে তাহলে নুন শেষ?
মা কী শুধু মাছের মাথায় খাইয়েছে?ইত্যাদি--
জানো আমার বউ হয়েছে খুবই ভাল!
সারাদিন সংসার নিয়েই থাকে!
তবে রাগটা একটু বেশি,বদ রাগিও বটে!
যে কথা গুলো তোমার বর বলে-
ও গুলো অমাকে বলতেই হয়না!
সবই ও বলে--পরিশ্রমই হয়না আমার!
শুধু কানের পথ দুটো পরিস্কার থাকলেই হল!
ময়লা থাকলে কথা ঢুকবে ঠিকই,তবে বেরোতে বেশ সময় নেয়,ওটি হবে না!
ভাবি কতোদিন তোমাকে চোখে দেখিনি-
একবার কী দেখা হতে পারে না?
বিশ্রামাগারের পিছন দিকটায় ,যেখানে তুমি-
তাকিয়ে থাকবে অপলক নিশানায়!
আমি তোমার চোখে খুঁজব-আমার ঘাম,ঘ্রাণ,স্পর্শ,ঠিকানা হারানো কিছু সকাল আর-
ছড়িয়ে থাকা আমার নামের অক্ষর গুলোয়-
মুখভর্তি তোমার গোপন আদর!
তাদের সঙ্গে তোমার সারল্য জীবন যাপন!
তুমি একটা ফোনও-তো করতে পারো?
একটিবার একটা হ্যালো বলেই কেটে দিয়ো!
তারপর শব্দ গুলোকে ঠিক খুঁজে নেব আমি!
যারা আমার কাছে আসতে চায়,পথ ভুল হলে
দোষ তো আমার,তাদের তো নয়!
হয়তো আমার নম্বর তোমার কাছে নেই,তাই-
কবিতার হাতেই লিখে দিলাম-৯৭৩২১৫৪১৫১