তুমি চলে গেলে বড় বেশি অভিমানে,
তারারা অপলক চোখে দেখেছে বিদায়,
আমার মধ্যাহ্ন রাতের প্রহরের কৃষ্ণতার
ভাগীদার করিনি তোমায় আমৃত্যু---
জীবনভর ঠাঁই যেন হয় তোমার, সুখের রথচক্রে,
একই নিয়ন আলোর শহরের বাসিন্দা আমরা
তবু যেন অচেনা নভোমণ্ডলের অতিথি দুজন,
কৃষ্ণ একাদশীর চাঁদের  মতো নিষ্প্রাণ এখন
তোমার সেই স্ফটিক নির্ঝর কলকল হাসি,
তোমার তাবৎ সুখের সুকুমার দীর্ঘ পোট্রের্ট সাঁঝের আঁধারে আকীর্ণ হলো ক্রমাগত দুঃখবোধে,
সুখের জন্যে, শুধু সুখের লাগি বেদনার
নীল অপরাজিতারা ছেয়ে যায় অহর্নিশ,
আকাঙ্খারা তীর বিদ্ধ সারসের মতো রক্ত ঝরায়,
কফিনে মোড়ানো সুখেরা তোমার হারালো
মায়াবী চাঁদের আলোর নির্মল প্রশান্তি।


নক্ষত্রহীন আকাশের সামিয়ানার নীচে  
অসুখী অনন্ত কৃষ্ণতায় নিবাস আমার,
আমারা কেউ সুখী নই অতৃপ্ত অভিলাষে,
আমাদের সীমান্তের দৃশ্যমান এপার ওপারে
অতৃপ্ত আকাঙ্ক্ষারা ব্যবচ্ছেদ করে সুখ,
বিভৎস বিকৃত করে প্রমের নিটোল তনু,
আমাদের সুখগুলো যায় মৃত্যুর মতো দূরে  যোজন যোজন দূরে অনন্ত নির্বাসনে।