স্বপ্নীল চোখের তারায় অদম্য ভাবনা ছিল
একদিন টানাপোড়নের জিঞ্জির ছিঁড়বো,
পাড়ার অভুক্ত শিশুর চোখের তপ্ত অশ্রুর সরোবরে খেলবে আনন্দের শ্বেত রাজহাংস,
চিরদিন সব দুঃখের নীলাভ বেদনাগুলি
আড়াল করে যাওয়া মায়ের স্বপ্নের কপোত
উড়াবো অনন্ত অসীম নির্মল নীল আকাশে।
প্রজাপতির মতো বর্ণীল ডানায় অফুরন্ত
ইচ্ছার বুদবুদ উড়িয়ে নির্ঝরের ছন্দময় গতিতে চলা বোনের অসংখ্য বায়না মিটাতে  
প্রাণান্ত ছুটবো শত বাধার শৃঙ্খল টুটে।
ঘর্মাক্ত বাবার বিমর্ষ চোখের বারান্দায়
একমুঠো চঞ্চল হাসির আলপনা আঁকতে
আমাকে ছুটতে হবে রূপকথার রাজকুমার হয়ে তেপান্তরের মাঠের পরে নিরুদ্দেশের দেশে।


বাংলার নদীর মতো সময় বয়ে যায় লোনা সমুদ্রে,
স্বপ্নভুখ শকুনেরা আঘাতের পর আঘাতে
ক্ষতবিক্ষত করে আমাদের লালিত আরাধ্য স্বপ্নগুলি।      
কথার ফুলঝুরি ঢেলে, নির্লজ্জ নগর নটিনীর মতো
মোহনীয় সুরের মূর্চ্ছনায় সম্মোহিত করে
আকন্ঠ পান করে স্বাধীনতার তাবত ফসল সম্ভার।
দুষ্টের দাবানলে পুড়ে খাক হয় জীবনের প্রহর
আর
মাছরাঙা রঙের আকাঙ্ক্ষার বর্ণীল ফানুসগুলো।


কন্টকাকীর্ণ বন্ধুর পথ মলিন হয় বেদনার
নীল অপরাজিতার নীলাভ আলপনায়,
মায়ের অশ্রু মিশে পদ্মা, মেঘনা, যমুনার জলে,
বাবার ঘর্মাক্ত আদ্র দেহখানি পায়না অবসর,
বুভুক্ষু পিশাচ পান করে অমৃত নির্যাস,
থাকে শুধু দুঃস্বপ্নের রূঢ় নগরী আর তপ্ত দীর্ঘশ্বাস।
                    ------------------