তখন জোছনার স্নিগ্ধ যৌবনে প্রেমের বাতায়ন ছিলোনা,
আকাশের সন্ধ্যাতারার গোধূলি সঙ্গীতে
জুড়ালো না মন তরুণের,
ভালোবাসার গুণগুণ গুঞ্জন নিষ্ক্রিয় নিথর হলো
-- তখন ছিল মহাপ্রলয়, রক্তকরবীর পাপড়িতে আকীর্ণ এপাশ ওপাশ,
রক্তগঙ্গায় ভাসছিল বাংলাদেশ।


মায়ের মমতার আজন্মের নিরেট শৃঙ্খল,
প্রেয়সীর দুর্লঙ্ঘ অনুরাগ তীর বিদ্ধ মরালের পালকের মতোন ছিন্ন ভিন্ন হয়ে উড়লো নিঃসীম শূন্যতায়।
কবিতার পঙক্তিমালায় বারুদের গন্ধ,              উদ্দীপ্ত সুর মূর্ছনায় উদ্বেলিত যুবক বাঁধনহীন বিহঙ্গের মতো উড়ন্ত ডানা ছড়াতে উদগ্রীব
হাজার বছরের আরাধ্য মুক্তির জন্যে।
মমতা, প্রেম, উর্দি পড়া শাসকের রক্তাভ চোখ,
ঝাঁক ঝাঁক বুলেটের স্রোত-- কোন জিঞ্জির তাকে রুদ্ধ করতে পারেনি।
বৈষম্য, শোষণ, তাচ্ছিল্য, বহতা নদীর দু'ধারে  অবরুদ্ধ এই মানচিত্রে মানুষের ক্রন্দনরোল,
মৃন্ময় উঠোন বেয়ে বয়ে যাওয়া বাবার রক্তের উষ্ণ উত্তাপ,
অনুজার সম্ভ্রম বাঁচাতে  নিঃসহায় আর্তনাদ
-- তাকে হিংস্র সিংহের মতো উন্মাদ বানালো।


তখন তার দ্রোহী হওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়,
সবুজে সবুজে আচ্ছন্ন বিস্তৃত ময়দানে
নতুন অরুণোদয়ের স্বপ্নময় সুপ্রভাতের স্বপ্নে,  
রুদ্ধ কপাট ভেঙে মৃত্তিকায় গর্বিত কিশলয়ে
নিমগ্ন শ্রমে আগামীর জন্যে ফুল ফোটাতে,  
রঙধনু রঙ মনের অবারিত আকাশের জন্য,  
বজ্রকঠোর অঙ্গিকারে দ্রোহের স্ফুলিঙ্গে বিস্ফোরিত হয়েছিলো দ্রোহী নন্দিত প্রচন্ডতায়।
                    --------------------