পৃথিবীর দীর্ঘ বিস্তার আকীর্ণ করলে
রক্তকরবীর আলপনায়।
বুভুক্ষু পিশাচের উন্মত্ত উল্লাসে
কেটেছে বিলম্বিত প্রহর তোমার
করোটিতে আকীর্ণ জমিনে তান্ডব নৃত্যে।
অর্থ খ্যাতি আর দোর্দণ্ড প্রতাপ চিরঞ্জীব করতে খন্ডন-প্রাচীরে বিভাজিত করছো মানবতার মৃন্ময় কোমল দেহখানি।
বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিচ্ছো পৃথিবীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
রাতের গহীন কৃষ্ণতায় অসহায় নক্ষত্রময় আকাশ নিস্তব্ধ নিশ্চুপ
তোমার অগ্নিময় তপ্ত নিষ্ঠুরতায়।          


তুমি ইতিহাসের পংক্তিমালায় আত্মঘাতী  
হিটলারের কৃষ্ণ হরফের করুণ আর্তনাদ দেখনি?    
অসহায় ভূবনজয়ী আলেকজান্ডার কফিন হতে শূন্য হাত প্রসারিত করে
নিয়তির কাছে নতজানু হয়ে বলতে দেখনি?
---- আমি কিছুই নিতে পারছিনা --
ছিনিয়ে নেওয়া রাজমুকুট রাজ্য বিত্ত কিংবা বৈভব!


তরুণ-তরুণী তানপুরায় তুলছে সুমধুর---
আকাশের নীল অপরাজিতার বাগানে
গায় জীবনের প্রাঞ্জল সুরেলা জয়গান।
নিষ্পাপ নির্মল শিশু খেলে পুতুলের মেলায় মিলন মিলন খেলা,
পাখি গায় অনন্ত বেলায় অবিকল শাশ্বত প্রহর ধরে।
দিনান্ত শ্রম সপে মানুষ ফিরে
আরক্ত গোধুলিতে নীড়ে ফেরা পাখির মতো একরাশ শান্তির স্নিগ্ধ বাতায়নে।  
তাবৎ পৃথিবী তাকায় চাতকের একাগ্র নিমগ্নতায়
শান্তির পেখম ছড়ানো শতদলে।


তুমি বড্ড বেমানান, ঘৃণিত, উপেক্ষিত, অস্পৃশ্য এই পৃথিবীতে।  
তুমি হবেনা জয়ী কোনদিন কিছুরই।
বিভ্রান্ত উন্মাদ ঘাতকের মতো
রণকেলিতে লিপ্ত বলে শঙ্কিত সবাই
--- এটা ভালোবেসে মৃত্তিকায় নুইয়ে পড়া
শেফালীর নতো অনাবিল সমর্পণ নয়।
তুমি ফিরে যাও দূর নিরুদ্দেশের দেশে
মানুষ ও মানবতার দৃষ্টির অগোচরে, অচিনপুরে।
                   --------------------