প্রাণাধিক প্রাণাধিকা রূপোলী হিরন্ময় স্বপ্নের ফেরিওয়ালা      
অধরে অধর রেখে ব্যাকুল প্রাণে যদিও বলে,
আমি আমৃত্যু থাকবো তোমার
নিরালোক রাতের গভীরে, বেদনা বিধুর  কালবেলায়,
-- সেসব স্বপ্নরাগও বিচূর্ণ হয়ে যায়
কাঁচের প্রাসাদের মতো দুর্দম্য ভূমিকম্পে,
জীবনের বিষন্ন বাঁকে, ম্রিয়মান সংকটে।


হৃদয়ের কপাট খুলে ছড়িয়ে দিলে যারে
বন্ধুত্বের ঔদার্য, নিটোল সময়ের বিস্তার,
দুখের নীল প্রজাপতি সে ওড়াতে পারে
সায়াহ্নেের অস্তরাগে, অন্ধকারাচ্ছন্ন অন্ধ আকাশেে।  


হতে পারে কেউ কাব্যিক ব্যঞ্জনাহীন,
আত্ম-সামর্থে নিঃশ্চুপ ম্রিয়মান একা,
মৃন্ময় সংলগ্ন জীবনে যার নিভৃত বসতি,
ফলায় স্বপ্নের বর্ণিল ফসল পরাগময় মৃত্তিকায়।  
বিরহে সংকটে সে এসে দাঁড়ায় ফ্লোরেন্সের মতো
অপার ভালোবাসায় বেদনায় প্রশান্তি হয়ে।
সম্ভ্রম রক্ষায় ভেঙে নির্বাক স্বরূপ গর্জে
উঠতে পারে সে অনবদ্য হিংস্রতায়,  
দেশমাতৃকার দুর্বিপাকে মমতার শৃঙ্খল ছিঁড়ে
অসম সাহসে শত্রুর করোটি মাড়িয়ে  
এনে দিতে পারে আরাধ্য স্বাধীনতা।    
  
সময়ের বসন্ত বেলায় ডেকে উঠবে কোকিলা,
জানান দেবে তোমায় সুরেলা ব্যঞ্জনায়  
কে তোমার ভালোবাসার কান্ডারী,
কে নেবে তোমায় তরী বেয়ে বহুদূর উতালপাতাল উর্মিমালার মহাসিন্ধুর সঙ্গমে,
কে তোমার যোগ্য, কে অযোগ্য কাপুরুষ।
যৌবনের মাহেন্দ্রবেলায়, সুরভিত সময়ে  যারে তুমি ফেলেছে দূরে তাচ্ছিল্যে,
সে হবে স্বপ্নের শতদল, জীবনের জীবন্ত পেখম।
                  -------------------
  


  




,