অযুত প্রহর বিলীন হলো পৃথিবীর পথে,
চলছি অবিরাম নক্ষত্রের মতো গতিময়
ছকে বাঁধা বেদনায় আকীর্ণ কক্ষপথে,
গাঙচিলের মতোন ত্রস্ত সময় পোহায়
সবার সুখের নীলাভ আসমান খোঁজে,
আমি জানি পশুত্বকে ছিন্নভিন্ন করতে,
আমি জানি স্বর্ণালি সুপ্রভাত জাগাতে
মনের গহীন অচল কুহক অন্ধকারে।
আমি পারি জোয়ান অব আর্কের নিবিষ্ট ভালোবাসায় ছিঁড়ে দিতে দাসত্বের শৃঙ্খল,
আমি হৃদয়ের অতলান্ত থেকে দিতে পারি
ফ্লোরেন্সের মতো অপার মমত্বের স্নিগ্ধতা, অতন্দ্র পার করে দিতে পারি সহস্র রজনী
ক্রীতদাসের মতো সেবার নির্লিপ্ত নিমগ্নতায়,
প্রজাপতির রঙিন ডানা হয়ে আঁকতে পারি রঙধনু রঙ দীর্ঘ পোট্রের্ট বিবর্ণ ধূসর পৃথিবীতে।


বারংবার আমাকে যেতে হয় নিষ্ঠুর যুপকাষ্ঠে,
ক্ষতবিক্ষত হয় আমার স্বপ্ন, আমার সম্ভ্রম,
চৌচির জমিনে খুঁজি অপার শান্তির স্নিগ্ধ জল---
উষর-মরুতে একখানি ফুলেল সবুজ বাগান।
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই এই নির্দয় বিস্তীর্ণ বিস্তারে,
পাথর মানব দেশে, যেন কোথাও কেউ নেই।