শিশিরে শিশিরে ভেজা ঘাসে রঙধনু
ছড়ানো গালিচা আমায় দিয়েছে ভালোবাসা।
কিষাণীর দিনান্ত নিষ্পাপ  ঘর্মাশ্রুর বরষা
আমাকে হাতছানি দেয় কর্মের একাগ্র শপথ।
আমার যে ছিলো ছোট্ট আশার পবিত্র
ছায়ায় ঘেরা অবারিত শান্তির নীড়।


আজ বাইছি বন্ধুর পাষাণ পাথর বেলায়
কৃষ্ণকায় সময়ে অকুল পাথারে জীবন-ডিঙ্গি।  
ঘুরছে ভণভণ ঘর্মাক্ত কর্মময়  মানুষের ভবিতব্য অবিচার, অসাম্যের যাঁতাকলে।
বাঁকা পথের পথিক হয় মহান পথিকবর,
অর্থের নিরেট রূঢ় শৃঙ্খলে বন্দী রাজনীতি,  
জনতার জয়গান, জীবনের উন্মেষ, প্রার্থিত প্রগতি।    
জুয়ারি খেলে রাজার মাঠে নির্বিঘ্নে, নিশ্চিন্তে।
সম্ভ্রম, গৌরব ম্রিয়মাণ দুর্বিনীত শকুনের নখরে।
ডাহুকের মতো জড়সড় হয়ে প্রহর পোহায়
শান্তির উপাসক, নিশ্চুপ নিভৃতচারী।  
স্বাধীনতার সুবর্ণ অমৃত নির্যাস লুফে ধূর্ত,
মৃত্তিকা কাঁদে নীরবে নিঃশব্দে বোবা আক্রোশে।  


হাজার বছরের নিমগ্নতায় পোহালো বেলা
অধিকার আর স্বরাজ স্বপ্ন  বিভোরে।  
বোনের উচ্ছল হাসি, বাবার উষ্ণ শোণিত
লুটেছে দানবেরা বারংবার বিভীষণের ইশারায়।  
এই বিয়োগ গাথার নীড়ে স্বজাতি বেশে
কেন জাগালি আবার তোরা চেঙ্গিসের নির্মমতা?


সহস্র বছরের মহাবিদ্রোহী আমি।
জ্বলে উঠতে পারি অদম্য দাবানলের লাহান
বিদেশি দস্যু বা স্বদেশী কুলাঙ্গারের বুক চিরে
আকন্ঠ পান করতে পারি প্রাণের স্পন্দন
আমার নষ্ট করে দেওয়া স্বপ্নের নীড়ের জন্য।      
আজ আমায় করলি তোরা নষ্ট নীড়ের বাসিন্দা  


                    ---------------