হৃদয়ের নিমগ্ন অনবদ্য অভিলাষে
যাকে বারংবার খোঁজে যায় মন,
সে-ই তো প্রেমের অর্ঘের উপাস্য
--- হয়তো দূরদেশের অদেখা কল্যাণকামী বন্ধু,
বা বুকের পাঁজরের লাগোয়া জীবনের সহযাত্রী,
কিংবা শৈশবের আকাশচুম্বী স্বপ্নের সাথী
--- যাদের অনন্ত প্রহর জুড়ে বলা যায়
আনন্দ-বেদনার উপাখ্যান।
আবার
হতে পারে গাঙচিলে ভরা সমুদ্র সৈকত
যেখানে বেদনার নীল অপরাজিতাগুলো
একে একে ভাসিয়ে দেওয়া যায়,
হতে পারে প্রিয় গ্রামটি
যেখানে কঁচি ফসলের মাঠে বিহঙ্গ উড়ছে অবিরাম
মাঝে তার বয়ে গেছে পথ দূর কোন গ্রামে
যেখানে হেঁটেছি বারংবার আশৈশব,
বা নিবিড় ছায়ার বিস্তৃত পড়শী বটগাছ
যেখানে শুনেছি বন্ধুর বেদনার মহাকাব্য
--- এগুলো নিশির মতো ডাকে পেছনে শেকড়ে ,
অনুরণিত হয় মনে নির্জনে, প্রতিক্ষণে
--- এসব প্রেমের সৌকর্যময়  বসতবাড়ি,
যাদের জন্যে বয়ে যেতে পারি
বহতা নদীর মতো নিঃসীম দূরে,
ভাসতে পারি বিরাহীন চিল হয়ে আনন্দে,  
তাদের হারনোর শংকায় ঢেলে দিতে পারি
বুকের উষ্ণতায় বাসিন্দা গোলাবি শোণিত
--- অগ্রজ যেমন দিয়েছিল একাত্তরে
মৃন্ময় প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে এই মাটি, মা,
নদীর তীরের স্বপ্নের দেশটির জন্যে।  


নিয়ন আলোয় মখমলে ফুলেল গালিচায়
হৃদয়হীন অলীক গুঞ্জনে ফেরারি হয় প্রেম  
--- লুকোচুরির বুদবুদে উবে যায় সে নিরুদ্দেশে,
গন্ধহীন ফুলের মতোন ঝরে যায় ব্যর্থ  দিন,
বন্দী খাঁচার পাখির বিন্দু-ভালোবাসার  
অহমিকায় রুদ্ধ হয় কাব্যিক ছন্দময়   প্রগতি।  
মুক্ত পাখি সুরেলা কাকলিতে বলে,
এসো সবুজের সুবাসিত বন্দনহীন বনে
এসো মেঘের শুভ্রতায় উদার আকাশের কোলে
---- এখানে নেই হিংসা ছলনা ঘৃণার তন্তুজাল,
আছে শুধু ভালোবাসাবাসি, আছে অবারিত প্রেমের মূর্ছনা।    
              ----------------------