তুমি বলেছিলে, থাকবে অনন্ত প্রহর ধরে,
মহাকালে, জন্মজন্মান্তরে
আমার হৃদয়ের অতল গভীরে।
প্রসন্ন বিকেলে নিয়ত অপেক্ষারা তোমার অতন্দ্র
--- কখন আসবো ক্লান্ত অবসন্ন আমি,
সঞ্চারিত করবে উদ্যোম,
প্রজাপতির মতো বর্ণিল পেখম স্পর্শে ফোটাবে
মনে সৌরভিত শতদল,
আমার কষ্টে তোমার মেঘ মেদুর চোখের পলক
বেয়ে নামে নির্ঝর স্ফটিক তপ্ত ধারা।
আমার সুখের নন্দন দোলায়
মুখে তোমার ছড়াতো আবীর আনন্দের,
স্বপ্নবাজ চঞ্চল তরুণীর মতো বিভোর হতে
যেন অনন্ত জন্মের
মনোহর তোমার আমি।
স্পর্শে তোমার নিরেট পাথরে জাগলো কিশলয়,
ছড়ালো ফুলের সুগন্ধ বিলাস,
ফসলের শিষে ভরলো চৌপাশ,
সৌরভে আকীর্ন হলো দূরদূরান্ত।


তুমি অঙ্কুর দেখলে
--- দেখলেনা ফসলের বিস্তার,
সময়কে আমার কৃষ্ণ মেঘমালায় রুদ্ধ করে
আজন্ম আদ্র করে অশ্রুতে
---চলে গেলে।
নক্ষত্রের গালিচায় বসে অপলক
চেয়ে থাকো অহরাত
তোমার ফসলের মাঠ আর আমার
হৃদয়ের বিদ্ধস্ত প্রকোষ্ঠগুলি,
যেন নিরুদ্দেশের দেশে নয়তো তুমি,
আমার বুকের ভেতর অবিরত এঁকে যাও
বেদনার রঙে রঙে  দীর্ঘ পোট্রেট।
এলো চুলে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি স্মৃতির গভীরে
অনন্ত দীর্ঘ গুহাচিত্র
--- যার জ্যোতির্ময় রশ্মিতে দাহ হয় অলিন্দ।
অশ্রুহীন পাথর মন অপেক্ষায় থাকে
মহাসিন্ধুর খেয়া ঘাটে
---- ওপার থেকে কখন ডাকবে আমায় তুমি।
(বন্ধুর বেদনাহত অনুভুতিগুলি)
--------------------