তপ্ত বাতাস করতে শীতল
      গোমরা মুখো মেঘের ছায়ে,
সজল ঝড়ে উড়াই ধুলো
     ঝাঁপটে হাওয়া গাছের গায়ে
বাতাস গাঁঁঙে ওঠে জোয়ার
    উথাল পাথাল স্রোতের টানে,
ঝর ঝরানি মেখে পাখি
     কাটছে সাঁঁতার কূজন গানে।
মেঘের পরে মেঘ সাজিয়ে
    ছুটছে  ধূমল পাহাড় গুলো,
ছেঁঁড়া রোদে গা ভিজিয়ে
    কোথাও বা মেঘ পেঁঁজা তুলো।
বারে বারেই ঝরছে শ্রাবণ
              শব্দ তুলে লক্ষ খুরে,
বুনো মেঘ বুঝি আসছে তেড়ে
    দল বেঁঁধে সব আকাশ ফুড়ে
নদী পুকুর মাঠের জলা
    কল খল কল উছল চলা,
নটরাজ যেনো বাজিয়ে ডম্বরু
       দেখায় মেঘে নাচের কলা।
আজ মাঠে নেই রাখাল গরু
     সবাই গ্যাছে ঘরে ফিরে,
মাছ ধরা সব ঝাপসা ডিঙি
তারাও  ফিরে আসছে তীরে,
মাঝে মাঝেই নদীর ওপার,
    দৃষ্টি থেকে যাচ্ছে সরে।
আকাশ নদী সব একাকার,
    যেই বরিষণ নামছে তোড়ে।
ব্যঙেরা আজ বেজায় খুশি,
     এ গাইছে গ্যঙর গাল ফুলিয়ে।
সবুজেরাও বেজায় খুশ৷
     কইছে কথা শাখা দুলিয়ে।
তাইতো বর্ষা ঋতুর রাণী
    সব কিছুকে বদলে সে দেয়,
পাহাড় নদী রুক্ষ ভূবন
    তার ছোঁয়াতেই সুর ভরে নেয়।
অনেক ঋতুই আসে ও যায়
    আষাঢ় শ্রাবণ ভিন্ন ধরন,
তৃষিত ধরা তাই বরষাকে
    অন্য ভাবেই করে বরণ।
কখনও সে টাপুর টুপুর
   কখনও বা রিম ঝিম ঝিম,
ঝির ঝিরানি বিরামবিহীন
   ধামসা মাদল বাজে দ্রিম ধিম।
অঝোর ধারায় সারাটা রাত
    সেই তো শোনায় মেঘ মল্লার,
আলো নেভা অন্ধকারেও  
     আলাপ ঝালা জোর -বিস্তার।
এই শ্রাবণই বীজকে মাতায়
    আকাশ ছোওয়া সৃজন গানে,
ফুঁসে উঠে মরা নদীও        
    নাঁচে নদীর ঘূর্ণি টানে।
তাই বর্ষা সবার আপন
   প্রিয় সুহৃদ সকল প্রাণের,
রুক্ষ জীবন পথ খুঁজে পায়
   তারই ছোঁয়ায় সৃষ্টি গানের।