নিত্য বছরে আসো তুমি মাগো
ঢাকের বাদ্যি বাজিয়ে,
মেঘেদের সাথে ভরা কাশফুলে
এ-ভুবন রঙেতে সাঁজিয়ে।
কখনও দোলায়,গজে বা অশ্বে
কখনও নৌকো চড়ে,
তোমা আগমনে সাঁজে এ ধরণী
শিউলি ঝরে মা ভোরে।
তোমারই জন্য পদ্ম দিঘীতে
পদ্ম ফোটে মা হেসে,
নোনা জল ছেরে ইলিশের ঝাঁক
মিঠে জলে আসে ভেসে।
তুমি আসবার আগেই মাগো
শীর্ণ নদী ওঠে জেগে,
রূক্ষ ধরাকে গড়তে সবুজ
বারি ধারা গীতি গায় মেঘে।
তোমারই জন্য বাঙালি বিশ্ব
থাকে মা অধীর অপেক্ষাতে,
দব ভেদ ভুলে এই কটা দিন
নব আনন্দে সবাই মাতে।
বড়দের সাথে ছোটরাও জোটে
বাঙালীর এ-বড় উৎসবে,
বছর জুরেই চলে নানা প্লান
এবারের থিম কি হবে?
কত দেয়া নেয়া কত কেনাকাটা
চারিদিকে শুধু হৈ-হৈ,
মৃৎশিল্পী,ঢাকি,ডেকরেটর,
দর্জিরও তখন রৈ-রৈ।
কার কটা হলো আরও কটা হবে
ছোটরা তা নিয়ে ব্যস্ত,
যারা ফুটপাথে জানেনা স্বজন
শুধু তারাই অবিন্যস্ত ।
আলো ঝলমলে কত রোশনাই
লক্ষ -কোটি ওড়ে বাতাসে,
শুধু-ওরা থাকে চির তিমিরেই
অবহেলা ভরা হুতাশে।
উৎসব শেষে যখন হয় বিসর্জন
নদী বা গাঙের জলে,
ঐ আদুল গায়ের ছেলেরা ঝাঁপিয়ে
কাঠামোকে তীরে তোলে।
জোটেনা ওদের পূজোয় পোষাক
হয়নি মায়ের শাড়ি,
জানো কি তোমরা, ক'জন হারায়
হয়নাকো ফেরা বাড়ি।
তাদের খবর রাখি বা ক'জন
বলোতো,ক'জন আমরা ভাবছি!
বরং আমরা আরও বেশি পেতে
নিত্য নীচেতে নাবছি।
গাড়ি আছে,তবু আরও দামী চাই
দামের পোষাক,শাড়ি,
দূখী যারা থাক দুখের আধাঁরেই
আমরা দিয়েছি আড়ি।
তাই অনুরোধ ওগো মা দূর্গা দাও
এ মনের অসুর বধ করে,
সাম্যবাদের ভুবন গড়ো মা,
সব জনে দাও এক করে।
সবায়ই বলবো সাথী হয়ে মাগো
"দূর্গা মাঈ কি জয়"
বছর-বছর আবার এসো মা
মুছে দিয়ো পরাজয়।।