সুরু থেকে আমি ব্রাত্য,
চির নিষ্পেষিতা,কারন আমি যে কন্যা।
আমিই মাতৃগর্ভা বসুধা
আমি জননী,আমিই আবার ভগিনী।
আমারই শরীরে প্রানকে ধরি,
আমি সৃষ্টি লালন করি।
আমি সবুজ বনানী মেঘ ঝরা গীতি
আমই বহতা নদী।
আমি অ-কৃত্রিম চির সত্য,
আমিই অনন্ত  আদি।
আমি ভালবাসা,আমি প্রেমময়ী স্নেহ মমতা,
আমি সেবিকা আমি শ্রদ্ধা,
আমি উর্বশী, আমি এলোকেশী
আমি ঝাঁসীর রানি বীরাঙ্গনা যোদ্ধা।
আমি মহালক্ষ্মী-জ্ঞানদাত্রী সরস্বতী
আমিই জগদ্ধাত্রী।
আমি জ্যোৎস্না প্লাবিত পূর্ণিমা নিশি
আমিই কালরাত্রি।
আমি কাত্যায়নী -মাহেশ্বরী
হিমালয় বালা উমা।
আমি মূক্তকেশী দখীনা কালী
শ্যামাঙ্গিনী শ্যামা।
আমি পতিব্রতা সাবিত্রী - সীতা
আমি লখিন্দরের বেহুলা।
আমি সব কাজে থাকি এগিয়ে সমানে
অবগুণ্ঠন খোলা সবলা।
আমিই দশভূজা -বিজয়া-ঘোররূপা
দশপ্রহরণধারিণী।
আমি ছিন্নমস্তা -মাতঙ্গী -ধুমাবতী
ষোড়শী -ভৈরবী -ব্রহ্মচারিণী।
আমি মঙ্গলচণ্ডী মঙ্গল্যা,মহাবিদ্যা-মহাশক্তি
আমিই বিঘ্ননাশিনী।
প্রয়োজনে আমিই মুন্ডমালিনী তীক্ষ্ণকান্তা
করালবদনা,নারীই রুদ্ররূপিনী।
নারী বিশ্বজননী আদ্যাশক্তি,দিগবসনা
ব্রহ্মময়ী নারীই তারা শক্তিরূপিনী।
তবুও নারীরই অবহেলা কেনো?
কেনো ঘরেতে-বাহিরে অজুত দূগ্গার
চলেছে নিয়ত লাঞ্ছনা?
কেনো নারীর প্রতিই যত অবিচার
যত অবহেলা গঞ্জনা।
কেনো নিত্য আজিও বিশ্ব জুরেই
চলেছে নারীরই লুণ্ঠন?
আজও মনে তার শেকল পড়ানো
অধীনতার অবগুণ্ঠন ।
এ রোশনাই ভরা ঢক্কা নিনাদ সভ্যতা হীন।
পুরুষ শাসিত সমাজে তাইতো
নারী ইচ্ছের পণ্য।
মনেতে লালিত পাশবিক ক্ষুধা
সমাজ আজিও বন্য।